নিজস্ব প্রতিনিধি: শীত(Winter) অনেকের কাছেই প্রিয় ঋতু(Best Season)। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে শীত বিলাসিতার প্রভাব একটু বেশিই দেখা যায়। এবার সেই শীত নিয়েই বড় বার্তা দিল দিল্লির মৌসম ভবন তথা IMD। তাঁদের দাবি, এবার শীতের কামড় সারা দেশেই কম হবে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার ওঠানামা(Temperature Fluctuations) যেমন দেখা যাবে তেমনি থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও(Rain Forecast)। এবারের শীত মরশুমে দেশের সব স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের দিন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা কম হলে, সেটাকে ‘শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি’ বলা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নেমে যাওয়া এবং শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা হ্রাস, শীতের তীব্রতা কমারই ইঙ্গিত করছে।
বিশ্বেজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে বিশ্বউষ্ণায়ন। ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে, চলতি বছরই ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ’ বলে চিহ্নিত হতে চলেছে। এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। অক্টোবর পর্যন্ত বছরের প্রতিটি মাস অধিক তাপমাত্রার নিরিখে রেকর্ড করেছে। নভেম্বরেও দেখা যাচ্ছে, শীতের মাত্রা পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে কম। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার শীত কম পড়ার সঙ্গে উষ্ণায়নের কোনও সম্পর্ক নেই। এল নিনো পরিস্থিতি থাকার জন্য এবার শীত কিছুটা কম পড়তে পারে। এল নিনো পরিস্থিতিতে পশ্চিম হিমালয় ও সংলগ্ন এলাকায় বছরে ঘন ঘন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসে। কম সময়ের ব্যবধানে একের পর এক ঝঞ্ঝার আগমন, তাপমাত্রা হ্রাসে বাধা দেবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর ও পূর্ব ভারতের সমতল এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ঝঞ্ঝা বিদায় নিলে উত্তুরে হাওয়া কনকনে ঠান্ডা নিয়ে আসে।
বাংলায়(Bengal) এবারে শীতের কামড় কিছুটা হলেও মালুম হবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং ডুয়ার্স এলাকায়। কিন্তু বাদবাকি বাংলায় ঠান্ডা সেভাবে মালুম হবে না। দিনের বেলায় বিশেষ করে সকালের দিকে থাকবে কুয়াশার দাপট। যার জন্য সকালের দিকে ঠান্ডা লাগলেও রাতে গরম লাগবে। বড়দিন এবার বেশ গরমের মধ্যে দিয়েঈ কাটবে বলে জানিয়ে দিয়েছে IMD। কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলি বড়দিনের দিন ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে পারে। একই অবস্থা হতে পারে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পূর্ব ভারতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য। সেই বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি না হলেও শীতের মরশুমি সবজির ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে আলু চাষের ক্ষেত্রে।