নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে এতদিন কলকাতার নর্থ-সাউথ মেট্রোর(Metro) ক্ষেত্রে ট্রেনের পরিষেবার সংখ্যা ছিল ২৮২। তবে ১ জুলাই থেকে মেট্রোয় ট্রেনের(Train) সংখ্যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২৮৮। একই সঙ্গে আগামী ৩ জুলাই অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের পরীক্ষা থাকায় সেইদিন নর্থ-সাউথ মেট্রোর ক্ষেত্রে দিনের প্রথম মেট্রো সকাল ৯টার জায়গায় আধ ঘন্টা এগিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার সময় ছাড়বে বলে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সেদিন অতিরিক্ত ৪টি ট্রেন চলবে। ওই দিন সবমিলিয়ে সারাদিনে ১৩৪টি ট্রেন পাবেন মেট্রোর যাত্রীরা।
একই সঙ্গে সামনে এসেছে, জুলাই মাসে জোকা(Joka) থেকে তারাতলা পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রুটে হবে মেট্রোর ড্রাই রান। সেখানে ব্যবহার করা হবে অবসর নেওয়া ২টি নন এসি রেক। ড্রাই রানে দেখা হবে মেট্রো ট্র্যাক্টের অবস্থা। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই এই রুটে চালু করা যাবে পরিষেবা, এমনই আশ্বাস এদিন দিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। কেননা জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত অংশে লাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ হয়েছে ওই অংশের সব স্টেশনের কাজও। তবে জোকা-তারাতলা রুটে এখনও কোনও সিগন্যাল বসানো হয়নি। যদিও সেই সিগন্যাল বসানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ড্রাই রানে শুধু ট্র্যাকের অবস্থা যাচাই করা হবে। সিগন্যাল না থাকায় আপ-ডাউনে একসঙ্গে চলবে না মেট্রো। একটি লাইন দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গিয়ে অন্য লাইন দিয়ে ফিরবে রেক।
জোকা মেট্রো নিয়ে সুখবরের পাশাপাশি দুঃসংবাদ রয়েছে শিয়ালদা(Sealdha) মেট্রো স্টেশন নিয়ে। কেননা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিয়ালদহ মেট্রো চালুর সম্ভাবনা। কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস গত ২৮ মার্চ ফুলবাগান থেকে বর্ধিত রুটে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চালুর ছাড়পত্র দিয়ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, সেই অনুমতি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মেট্রো চালু করে দিতে হয়। রবিবারই সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘ তিনমাস ধরে শিয়ালদহ মেট্রো চালু করা হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সিআরএসের ছাড়পত্রের মেয়াদ ফুরনোর পর এবার কী হবে? রেলের এক শীর্ষকর্তার দাবি, এবার মেট্রো চালাতে গেলে ফের সিআরএসের কাছে আবেদন করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে না-হলে আরও জটিলতা বাড়বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রেলের তরফে আবেদনের ভিত্তিতে সিআরএস এই ছাড়পত্রের সময়সীমা ফের একবার বাড়াতে পারেন। যার পোশাকি নাম ট্রেন চালানোর ছাড়পত্রটি ‘রিভ্যালিডেট’ করা। সেক্ষেত্রে সিআরএসের সশরীরে পরিদর্শনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এভাবে ছ’মাস ফেলে রাখলে প্রয়োজনে ফের সিআরএস ভিজিট কার্যত আবশ্যিক হয়ে পড়বে।