নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে শনিবার অপসারণ করা হয়েছিল বলে খবর সামনে এসেছিল। সেই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর নতুন গ্রুপ তৈরি করে আবার জহরকে সেই গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল সূত্রে দাবি, এআইটিসি রাজ্যসভা (AITC Rajyasabha) নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। আর সেখানে নাম রয়েছে জহর সরকারের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, জহরকে একবার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অপসারণ করে আবার নতুন গ্রুপ তৈরি করে তাঁকে সেখানে রাখা দলের তরফে তাঁর প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেওয়া হল। প্রসঙ্গত ১৩ জন সাংসদ নিয়ে দলের যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, সেই গ্রুপ থেকে জহর সরকারকে বাদ দেওয়ার পর চাপানউতর তৈরি হয়।
সম্প্রতি একাধিকবার দলের নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে জহর সরকার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন। এরপর তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন জোড়াফুল শিবিরের একাধিক নেতা। পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে জহর সরকার বলেছিলেন, ‘ঘটনাটি যখন প্রথমে টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে আমার কাছে কল্পনাতীত। সে যে দলেরই হোক, এরকম দুর্নীতির দৃশ্য টিভিতে কম দেখা যায়। তার সঙ্গে যখন দেখা গেল কিছু অন্য লোক এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। একটা নৈতিক ব্যাপার আছে। তাতে আরও খারাপ লাগল। আর এই নিয়ে লোকে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। টাকা উদ্ধারের ছবি টিভিতে দেখে বাড়ির লোকেরা সাথে সাথে বলল, তুমি ছেড়ে দাও। সাংসদ পদ তো বটেই, রাজনীতিই ছেড়ে দাও।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এক সাইড পচা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল।’ যদিও সেই সময় জহর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের একাধিক বর্ষীয়াণ নেতা। জহরকে বিঁধে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘আমি খারাপভাবে দেখছি। জহরবাবুরা তো নাগরিক সমাজের লোক নন। তিনি আমলা সমাজের লোক। এদের একটি আলাদা চরিত্র রয়েছে। এরা আত্মকেন্দ্রিক এবং স্বার্থপর হন সাধারণত। কারও ভুল করেও উপকার করেন না। ক্ষমতায় থাকলে নিজেদের হুকুম চালান।’