নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যকে দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে তীব্র আক্রমণ শানল তৃণমূল। আরও বলা ভাল যোগ্য জবাব দিল। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ককে বাংলায় বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। সেই প্রস্তাবকে কটাক্ষ হানেন মালব্য। বলেছিলেন, ‘ইলনকে বাংলায় শিল্পের পরিকাঠামোর কোন উদাহরণ দিতে চায় তৃণমূল? তারা কি সিঙ্গুরের শিল্পের কথা বলবে? না কি ভোট পরবর্তী হিংসার উদাহরণ দেবে?’ সেই অমিত কটাক্ষকে সোমবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। এদিন ‘জাগো বাংলা’তে সম্পাদকীয় বিভাগে ‘অক্ষমের টুইট অস্ত্র’ শীর্ষক সম্পাদকীয় স্তম্ভে তৃণমূল অমিতকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি গোটা বিষয়টি যে আদতে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের গোলযোগ ও দল ভাঙার সম্ভাবনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার এক প্রয়াস তাও জানিয়েছে তৃণমূল।
এদিন ওই সম্পাদকীয়তে তৃণমূল প্রথমেই বঙ্গ বিজেপির শিবির বিভাজনকে তুলে ধরেছে। এটা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার যে বঙ্গ বিজেপি এখন দুই শিবিরে আড়াআড়ি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। গল্প এখানেই থেমে থাকেনি। সম্ভবত মতুয়াদের জন্য আলাদা দল গড়তে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর। তৃণমূলের দাবি, পদ্মশিবিরের এই গোলযোগ থেকে চোখ ঘোরাতে অমিত মালব্য টেসলার প্রধান ইলন মাস্ককে বাংলায় বিনিয়োগ করার প্রস্তাবকে ঘিরে টুইটে কটাক্ষ করছেন। তৃণমূল তার জবাবেই লিখেছে, ‘ইনি পুরোপুরি স্বঘোষিত টুইট মাস্টার। টুইট করে নেতা হয়েছেন। ইনি কখনও বাংলায় কোভিডের হিসেব নিয়ে তো কখনও বাংলার শিল্পায়ন নিয়ে অগভীর, অবিবেচকের মতো কথা বলেন। ভুলে যান এই কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে লগ্নি আসছে, ক্রমান্বয়ে আসছে। সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের দরুন সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলা। পারলে শিল্প দফতর থেকে তথ্যটা নিতে পারেন। কোভিড রুখতে বা ভ্যাক্সিনের ব্যবহারে বাংলা কোথায় রয়েছে তার হিসাবও আপনাদের পোর্টালে রয়েছে। হিসাবটা ভাল করে দেখে নিন।’
এই আক্রমণের পাশাপাশি ওই লেখায় বলা হয়েছে, ‘কেন এই মাথা ব্যাথা টুইট মালব্যের সেটা সবাই বোঝেন। বঙ্গ বিজেপির অন্দরের লড়াইটা প্রকাশ্যে। এই সময় মানুষের চোখ ঘোরাতে হবে। মিস্টার মালব্য টুইট করেই যদি তৃণমূলকে ভাঙা যেত তা হলে একুশের বিধানসভা ভোটেই হতো। কেন অনর্থক সময় নষ্ট করছেন।’ সাম্প্রতিক কালে ‘জাগো বাংলা’ সম্পাদকীয় বিভাগে তৃণমূল বিজেপি থেকে কংগ্রেস সবাইকে আক্রমণ করে চলেছে। তাই এখন নিত্যদিনই আমজনতাও ‘জাগো বাংলা’র দিকে বেশি করে নজর দিচ্ছে। নজর রাখছে সংবাদমাধ্যমও। আর সেখান থেকেই কিবা রাজ্য রাজনীতি কিবা জাতীয় স্তরের রাজনীতি, তৃণমূল নিত্য নতুন বিষয়ে বিতর্ক তুলে ধরছে, বিতর্ক ও কটাক্ষের জবাবও দিচ্ছে।