নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওয়া উঠেছিল আগেই। এবার সেই হাওয়াকেই কার্যত স্পষ্ট রূপ দিয়ে দিল রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয় কলম। রবিবার ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে সাফ জানানো হয়েছে, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চলছেন শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই। তাঁর নির্দেশেই সুকান্ত যা করার করছেন। এখন বঙ্গ বিজেপিতে যে মুষলপর্ব চলছে তার মূলে রয়েছেন সেই শুভেন্দুই। শনিবার শান্তনু ঠাকুর যেভাবে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ শানিয়েছেন এবং দল ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে করে সবাই এইটুকু বুঝে গিয়েছিলেন শান্তনুর আক্রমণ আদতে সুকান্ত মজুমদার ও অমিতাভ চক্রবর্তীর দিকেই। কিন্তু সেই আক্রমণের অভিমুখে যে শুভেন্দু পড়ছেন না এমন কথাও কিন্তু হলফ করে কেউ বলতে পারছিলেন না। রবিবার কিন্তু তৃণমূলের তরফে সেটাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে বঙ্গ বিজেপি এখন একক ভাবে শুভেন্দুর কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে। সুকান্ত সেখানে শুভেন্দুর নির্দেশবাহী নেতা ভিন্ন আর কেউ নন।
শনিবার শান্তনু কারও নাম না নিয়েই আক্রমণ চালিয়েছিলেন। যাদের আক্রমণ করেছিলেন তাঁদের পদত্যাগের দাবিও করেছেন। তবে সেই আক্রমণের অভিমুখ যে সুকান্ত আর অমিতাভের দিকেই সেটা কার্যত সবাই বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, এখন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে শুভেন্দুর হাতেই এখন বঙ্গ বিজেপির রাশ। কিন্তু তা দলের ভাল করার চেয়ে খারাপই করে চলেছে বেশি। বাংলা থেকে বিজেপি কার্যত মুছে যেতে বসেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বার বার নানান মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু বঙ্গ বিজেপিকে কার্যত ব্যবহার করছেন তাঁর ব্যক্তিগত আক্রোশের জায়গা থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি বিজেপিকে ব্যবহার করে চলেছেন এই দুজনকে আক্রমণ করার পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করার ক্ষেত্রেও। কিন্তু এখনও অবধি বাংলায় বিজেপিকে বিস্তার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে ছিঁটেফোঁটা কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বলে এখন বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা সরব হয়েছেন প্রকাশ্যে। আর এই ছবিটাই কিন্তু শান্তনু ঠাকুর তুলে ধরেছেন সবার সামনে। বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলকে কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টা যিনি করছেন তিনি আদতে শুভেন্দুই। সুকান্ত ও অমিতাভ সেখানে শুধুই নির্দেশবাহী মাত্র।