এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির এজেন্সি টাকা আছে, তৃণমূলের মত কর্মী নেই: অভিষেক

 নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার ব্যারাকপুরে জনসভা করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE)। শ্যামনগরে জনসভায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপি, বিজেপি চালিত কেন্দ্র সরকার ও রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বার্তা দেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে। মনে করিয়ে দেন ৩ বছর আগে এই দিনেই ব্যারাকপুরে সভা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর মুখে শোনা যায় সিবিআই প্রসঙ্গও। 

মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, ৩ বছর আগে ৩০ মে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) এসে ব্যারাকপুর থেকে ডাক দিয়েছিলেন, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর। সেই জায়গায় আজ আবারও তৃণমূলের সভা। পার্থক্য শুধু, ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরেছে। দাঙ্গা লাগানো বিজেপির দর্প চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, ব্যারাকপুরকে অশান্ত করার স্বপ্ন ভেঙেছে গেরুয়া শিবিরের।

বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই দলের সম্পদ। দলের জয়, তাঁদেরই জয়। এরপরই অভিষেক বলেন, বিজেপি থেকে এখন অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। সেই দরজা খুললে গেরুয়া দলটাই উঠে যাবে। এদিন তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলে একজনই নেত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি সবাই কর্মী। ১ নম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ২ নম্বরে দলের সকল কর্মী। মাঝে কেউ নেই। এদিন অভিষেকের নিশানায় বারবার ছিল বিজেপি। বলেন, ওরা বলেছিল আগলেবার ২০০ পার কিন্তু মাত্র ৭০- এই শেষ হয়ে গিয়েছে।

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির হাতে অনেক টাকা আছে। আছে অনেক এজেন্সি। তা দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়। তবুও লাভ হয় না। কারণ, ওদের অনেক এজেন্সি, টাকা থাকলেও তৃণমূলের মত কর্মী নেই। দৃঢ় কন্ঠে বলেন, একমাত্র তৃণমূলই পারে বিজেপির চোখে চোখ রেখে কথা বলতে।

এদিন তিনি বলেন, বাঙালির মেরুদন্ড আছে। বাঙালিরা ও তিনি দিল্লির কাছে মাথানত করবেন না। এও বলেন, মাথানত করতে হলে তিনি তা করবেন দেশবাসীর কাছে।

ব্যারাকপুরের সাংসদ (MP) অর্জুন সিংয়ের সদ্য প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূলে। তিনিই অনুরোধ করেছিলেন ব্যারাকপুরে জনসভা করার জন্য। এই দিন সেই জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অর্জুন সিং বিজেপিতে গিয়ে ফিরে এসেছেন। কারণ, তিনি বুঝেছেন বিজেপিতে যাওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা একই ব্যাপার। বলেন, তৃণমূল মানে ছোট দল কিন্তু খেটেখাওয়া শ্রমিকের দল। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই কথা বলে জোড়া ফুল শিবির। এই জন্যই আসে জয়। এও বলেন, গণতন্ত্রে শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। তাঁরাই বারবার প্রমাণ করে মমতা ব্যানার্জি সারাবছরের ভরসা। অন্য বড় দলের এজেন্সি বা টাকা থাকলেও তার ওপরে বিশ্বাস করা যায় না।

তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরাজ এদিন বাংলা থেকে বিজেপিতে শূন্য করার ডাক দেন। তারপরেই কটাক্ষ করে বলেন, বিচারব্যবস্থার ১ শতাংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলাম। যাই বলি তার উত্তর দেন রাজ্যপাল।‌ এতেই বোঝা যায় মৌচাকে ঢিল ঠিক জায়গায় লেগেছে।

বলেন, এসএসসি, সারদা, নারদা- সবকিছুতে সিবিআই তদন্ত হলেও তাঁর কিছু যায় আসে না। সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াই করে তৃণমূল। তবে সিবিআই- এর গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রের কিছু হয়েছে? সুদীপ্ত সেন জেলে বসে যাঁদের নাম লিখে গিয়েছিলেন, তাঁদের কিছু হয়েছে? নীরব মোদির সঙ্গে মঞ্চে দেখা গিয়েছে মোদিকে তাঁকে ধরেনি সিবিআই অথচ একবার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মঞ্চে দেখা দিয়েছিল মদন মিত্রকে তাই মদন মিত্রকে জেল খাটতে হয়েছিল ৩ মাসের জন্য। সিবিআই বারবার একজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, আর তিনি চুপ থাকবেন, প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, আগে থেকে বিজেপি নেতারা কী করে নাম ধরে বলে দিতে পারেন কাকে কাকে ডাকা হবে?  এরপরেই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশকে সামনে রেখে রাজনীতি করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য।

রাজ্যপাল সীমা অতিক্রম করছে এমনই হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপালকে কিছুই বলা হয়নি তবুও তিনি বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া উত্তর দিচ্ছেন। তা থেকেই সব পরিষ্কার।বলেন, বিজেপি ইডি ও সিবিআই দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করছে বিরোধীদের।

এদিন তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার মেরুদন্ড আছে বলেই ভারতবর্ষ এখনও ধ্বংস হয়ে যায়নি।

রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেন, উনি বার বার একজনকেই আক্রমণ করেন। বাকিদের ক্ষেত্রে চুপ থাকেন। শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমনাত্মক উক্তি বা দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য, পুলিশকে ঝেঁটিয়ে বিদায়- প্রসঙ্গে তিনি চুপ। বিপ্লব দেব কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছে বিচার ব্যবস্থাকে, তখনও চুপ। আর শুধু বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ। এই কথা বলার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন।

বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া উচিত তবুও দেয় না কেন্দ্র। প্রতিশ্রুতি মত দেয়নি ১৫ লক্ষ টাকা। দিন দিন বেড়েই চলেছে পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস আর সরষের তেলের দাম। বলেন, বাংলায় হেরে গিয়ে বিজেপি ২ বার পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাই পারে বিজেপিকে শূণ্য করতে। একমাত্র বাংলায় পারে বিজেপি মাথা নিচু করাতে।

তিনি বলেন সকলে যেন দলনেত্রীর কথা মেনে চলেন। দল মানে আমি নয় আমরা, তৃণমূল সুপ্রিমোর এই উক্তি মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনও তৃণমূল কর্মীর গায়ে আঁচড় পড়লে, ছেড়ে কথা বলবেন না তিনি। বলেন, তিনি জয় হিন্দ ও জয় বাংলার রাজনীতি করেন। আদিম করেছেন, পরেও করবেন। জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে বিভেদের রাজনীতি করবেন না কখনওই। এদিন দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, তিনিও তৃণমূল সুপ্রিমোর সৈনিক, বাকিরাও দিদির সৈনিক। কোনও পার্থ্যক্য নেই। 

এদিনের সভায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ছাত্রী। অন্যদিকে, তড়িদাহত হন এক বৃদ্ধা। সভার পরে ওই ছাত্রীর মাথায় হাত রেখে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন অভিষেক। সভার সময়েই অসুস্থ বৃদ্ধার চিকিৎসার নির্দেশ দেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে করা হয় ওই বৃদ্ধার শুশ্রূষা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে’, কুণালকে তোপ জেলবন্দি পার্থর

শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা শশী পাঁজার

দীর্ঘদিন নেতাদের দেহরক্ষী থাকতে পারবে না পুলিশকর্মী, নয়া নিয়ম আনছে নবান্ন

শ্লীলতাহানির অভিযোগের মধ্যেই কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট তলব রাজ্য মহিলা কমিশনের  

শুক্রবার কলকাতার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসছে তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর