নিজস্ব প্রতিনিধি: সোম সন্ধ্যার রেশ থেকে গেল মঙ্গল সকালেও। গতকালই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করার সময়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের কার্যকলাপ, কথাবার্তা, টুইট, হুমকি-ধমকি-নির্দেশ এসব নিয়েই তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, যে তিনি বাধ্য হয়েছেন টুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করে দিতে। সেই কারনে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু সেই ঘটার রেশ থেকে গেল মঙ্গলবার সকালেও। এদিন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় সম্পাদকীয় স্তম্ভে কার্যত সরাসরি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। ‘টের পাবেন’ শীর্ষক সেই সম্পাদকীয় স্তম্ভে রীতিমতো সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ধনখড়কে।
এদিনের ওই সম্পাদকীয়তে ধনখড় ও বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে, ‘শ্রী জগদীপ ধনখড়। বাংলার রাজ্যপাল। রাজস্থানের মানুষ। সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন। দূরবিনে দেখতে হয়। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য, সমর্থক, প্রাক্তন সাংসদ। রাজ্যপাল হওয়ার সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একটাই টার্গেট ছিল যেনতেন প্রকারণে বাংলার সরকারকে বিব্রত করা। কেন? তার কারণ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব জানতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে পরাস্ত করা অসম্ভব ব্যাপার। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিরোধীদের মুখ। এখন বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর ক্রমান্বয় তোপ বন্ধ করতে নানাভাবে তাঁকে বিরক্ত করে যেতে হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চাপে পড়ে সুর নরম করবেন, এমন একটা ধারনা ছিল। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর অগ্নিমূর্তির সামনে পড়ার পর নিশ্চিতভাবে বিজেপি আর ধনখড় বুঝতে পারছেন, গেরুয়া শিবির ভুল মাটিতে খেলছে। এটা যে রাজস্থান বা গুজরাতের মাটি নয়, তা বুঝতে পারলেন অনেক পরে। এই প্রথম বিজেপি নেতারা বুঝতে পারলেন কেন বলা হয় হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে, ইন্ডিয়া থিংক্স টুমরো। রাজ্যপাল এবার হাড়ে হাড়ে টের পাবেন।’