নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পুরনিগম-সহ অন্যান্য পুরসভায় ভোট হবে আগামী ২৫ নভেম্বর। এর কয়েকদিন আগেই আগরতলায় গ্রেফতার হলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। যা নিয়ে উত্তপ্ত আগরতলা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতেই ভোটের কয়েকদিন আগেই এই ঘটনা। পাশাপাশি বিজেপির দাবি, এটা তৃণমূলের দেখানো পথ। যা নিয়ে জমে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আরও একটি তরজা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি পোস্ট বর্তমানে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে। বিশেষ করে জোড়াফুল শিবিরের সমর্থকরাই একটি মিম ছড়িয়েছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরা মডেলে পৌরভোট হোক বাংলায়! আপনার মতামত কি?’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আপাত নিরীহ একটি পোস্টেই লুকিয়ে আছে বিজেপির প্রতি তীব্র কটাক্ষ। কারণ ভয় ও সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে ত্রিপুরায় ভোটের আগে বিরোধীদের দমিয়ে দিতে চাইছে বিপ্লব দেবের বিজেপি। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে প্রতিদিন নিয়ম করে। বাংলায় পুরভোটে এরই পাল্টা দিতে চেয়ে তৃণমূলের এই পোস্ট। একাংশের দাবি, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে বিজেপির প্রকৃত মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্যই এই ধরণের মিম ছড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল আইটি সেল।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় তৃণমূলের যাত্রা শুরুর ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক হামলা ধেয়ে আসছে জোড়াফুল শিবিরে। কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। যদিও বাংলার শাসকদলের দাবি, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরপর তৃণমূলের টিকিটে মনোনয়ন জমা দেওয়া পুরভোটের প্রার্থীর বাড়িতেও হামলা হয়। যা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপির ওপর চাপ বাড়াল তৃণমূল।