নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে বাংলার বুকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি কলকাতায়। তার সঙ্গে কার্যত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাল্লা দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও। মৃত্যুর সংখ্যার দিকেও এই দুই জেলাই সব থেকে বেশি এগিয়ে। কলকাতায় বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দেখা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশেও কোভিড সংক্রমণ ও তা থেকে মৃত্যুর ঘটনা বেশি রাজ্য পুলিশের তুলনায়। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যখন বাংলায় আছড়ে পড়েছে তখন দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের সেই ছবি বদলে না গেলেও মৃত্যুর হার তুলনামূলক এবারে অনেকটাই কম। তবুও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটছে না। কেননা সোমবার নতুন করে তথ্য সামনে এসেছে যে কলকাতা পুলিশের ১২জন আইপিএস আধিকারিক সহ সর্বমোট ৪৫০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের বাহিনীতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫০। কেননা এদিন সামনে এসেছে যে বাহিনীর ১২জন আইপিএস আধিকারিক ও ৮৭জন কর্মী তথা আধিকারিক নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৪৫০জনের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার যেমন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তেমনি অনেকেরই ভ্যাক্সিনের ২টি ডোজও হয়ে গিয়েছে। তারপরেও তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। শহর রক্ষার ভার যাঁদের কাঁধে সেই পুলিশ কর্মীদের ওপর কোভিডের এই মুহুর্মুহু থাবা উদ্বেগে রেখেছে শহরবাসীকেও। কোভিড আবহের মধ্যেও প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা হিসাবে পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকেরা নিজেদের কর্তব্য পালনে ব্যস্ত। প্রতিনিয়তই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে তাঁরা শহরের বুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে চলেছেন। তাই রাজ্য সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রেও পুলিশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।