এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সোনালি রায়ের ধাক্কা মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য পদেও

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) খারিজ হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের(Calcutta University) উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Sonali Chakrabarty Banerjee) পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত যা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর এই রায়ের জেরেই কার্যত রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালের গুরুত্বই ফিরিয়ে দেওয়া হল। কেননা মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে বলে দেওয়া হয়েছে, উপাচার্য(VC) পদে কারোর নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ এবং মেয়াদবৃদ্ধি— সমস্ত ক্ষেত্রেই আচার্যের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর প্রয়োজন। আর তাই রাজ্যের আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন এই রায়ের ধাক্কা লাগতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তুলে ধরার সরকারি প্রয়াসেও। সম্ভবত সেই সংক্রান্ত কোনও মামলা দায়ের হলে সেখানেও আদালত রাজ্যপালের পদকেই রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদের জন্য অনুমোদন দিতে পারে।

২০১৭ সালের ১৫ জুলাই থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রয়েছেন সোনালি। গত বছর ২৭ অগস্ট রাজ্য সরকার তাঁকে ওই পদে পুনর্বহাল করে। ঠিক সেই দিনই সোনালির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই জন্য রাজ্য সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে। কেননা তখনও রাজ্যপালই ছিলেন পদাধিকারবলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কিন্তু সেই সময় বাংলার রাজ্যপাল পদে থাকা জগদীপ ধনখড় বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে সেই ফাইলটি ফেরত পাঠান। সোনালির পূর্বতম মেয়াদের শেষ দিন বিকেলে রাজ্য সরকার নির্দেশ দেয় ‘রিমুভাল অব ডিফিকাল্টি ক্লজ’-এর বলে সোনালিকে পুনর্নিয়োগ করতে। নচেৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়ে পড়ত। সেই মতন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সোনালিকে ফের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করে। কিন্তু যেহেতু সেই সিদ্ধান্তে রাজ্যপালের সন্মতি ছাড়াই নেওয়া হয়েছে তাই এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিতে পারে কিনা তা জানতেই একটি জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। সেই মামলারই রায় এদিন দিয়েছে আদালত।

এই মামলার রায়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, সোনালিকে দ্বিতীয় বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য নিতে পারে না। ২০২১ সালের ২৭ অগস্ট সোনালিকে পুনর্নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তা-ও খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই নির্দেশ-সহ নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ এবং মেয়াদবৃদ্ধি— সমস্ত ক্ষেত্রেই আচার্যের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর প্রয়োজন। সোনালির দ্বিতীয় বারের নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের মনোনীত ব্যক্তির নাম পাঠাতে হয়। রাজ্যপাল ওই নামে সিলমোহর দিলে তবে তাঁকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়ে থাকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এদিন রায় দানের পরে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, ‘মামলাটির বহু দিন ধরে শুনানি হয়েছে। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্যই শুনেছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যিনি উপাচার্য, তিনি এই রায় ঘোষণার সময় থেকে আর উপাচার্য নন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ যদিও রাজ্যের শিক্ষা দফতর ভিন্ন কথাই জানিয়েছে।

রাজ্যের শিক্ষা দফতর(Education Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সোনালিকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেননা রাজ্যের যে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার প্রতিটিতেই উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল বিধিবদ্ধ ভাবে সার্চ কমিটির সুপারিশ মেনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সোনালিকেও সে ভাবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে আর সার্চ কমিটির রিপোর্ট লাগে না। সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি ফাইল পাঠাতে পারে রাজ্যপালের কাছে, যিনি পদাধিকার বলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও সেটিই করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল সেই ফাইল ফেরত পাঠানোয় রাজ্য সরকার বাধ্য হয় ‘রিমুভাল অব ডিফিকাল্টি ক্লজ’ অনুযায়ী সোনালিকে পুনর্বহাল করতে। তাই এক্ষেত্রে ভুল কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সোনালিও তাই নিজ পদে বহাল থাকছেন। আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, এই রায় মুখ্যমন্ত্রীকে পদাধিকারবলে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানোর ক্ষেত্রেও বিরোধী হয়ে উঠবে আগামী দিনে। যা রাজ্যের উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে এক অচলাবস্থা ডেকে আনবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, বাগুইহাটিতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর