নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের তো বটেই, দেশের প্রথম Smart City-তে আজ পঞ্চায়েত ভোট। সেই শহরের নাম Newtown। কলকাতা(Kolkata) ও সল্টলেকের(Saltlake) কান ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই Smart City-তেই আছে রাজ্যের এক মাত্র ‘ঝুলন্ত রেস্তরাঁ’। বিশ্ববাংলা গেটের ওপরে সেই রেস্তরাঁ দেখে চোখ টাটায় খাস কলকাতারও। নিউটাউনের সেই ঝুলন্ত রেস্তরাঁ থেকে ঠিক ২০০ মিটারের মধ্যে আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) বুথে ভোট দিতে যাওয়ার কথা এই Smart City’র ১২ হাজার মানুষের। কিন্তু সকাল থেকেই দেখে যাচ্ছে যে সব বুথে তাঁদের ভোটার হিসাবে নাম রয়েছে সেখানে তাঁদের দেখাই যাচ্ছে না। কেননা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁরাই। এদিনও সেই Smart City’র রাস্তায় রাস্তায় চোখ গেলেই চোখে পড়বে ভোট বয়কটের(Vote Boycott) পোস্টার।
আরও পড়ুন ভোট সকালেই ৩ জেলায় খুন ৩ তৃণমূল কর্মী
রাজারজাট নিউটাউনের একাংশ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজারহাট ব্লকের জ্যাংড়া-হাতিয়ারা ২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের আটটি আসনে আজ নির্বাচন। তিনটি মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কলেজের ভোটকেন্দ্রে সবথেকে বেশি বুথ। এছাড়াও অ্যাকশন এরিয়া-২ ও ৩ এলাকায় আরও দু’টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৩০টি বুথে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন স্মার্টসিটির নাগরিকরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১২ হাজার মানুষের নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। কিন্তু সকাল থেকে সেই ভোটারদের দেখাই অমিল। যদিও রাজারহাটের পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি প্রবীর করের দাবি, ‘নিউটাউনের মানুষ এতদিন দিশাহীন অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের সুবিধার জন্যই এই এলাকাকে পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করব ভোটাররা সবাই ভোট দিতে আসবেন।’ আর নিউটাউনের বাসিন্দারা কী বলছেন? তাঁদের বক্তব্য, ‘আমাদের কাছ থেকে যে ট্যাক্স নেওয়া হয় সেটা রাজ্যের পুরসভা এলাকার থেকেও চড়া হারে। গোটা এলাকাটা শহুরে। তাহলে কেন এই এলাকা পঞ্চায়েত করে রাখা হবে? নিউটাউন এলাকাকে পুরসভার অন্তর্গত করার জন্য আমরা লড়ছি। তার মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। তাই বয়কটের ডাক।’
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সজাগ তৃণমূলও
পরিসংখ্যান বলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই অভিজাত এলাকা থেকে খুব বেশি মানুষ ভোট দিতে আসেননি। সেখানে পঞ্চায়েতের ভোট নৈব নৈব চ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অবশ্য বক্তব্য, নিউটাউনে প্রচারে তাঁরা নাকি ভালো সাড়া পেয়েছেন। তবে তার কতটা ব্যালট বক্সে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিধানসভায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছিল। এবার সেই সংখ্যা খুব বেশি বাড়বে বলে মনেও হচ্ছে না। বরঞ্চ সেখানে ভোট দানের হার এদিন আরও কম থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত সকালে এলাকার বুথগুলিতে তেমন ছবিই ধরা পড়েছে।