নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভার পর বিধানসভাতেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সিপিএমকে। বর্তমান বিধানসভায় বামেদের কোনও প্রতিনিধি নেই। এমতাবস্থায় রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সিপিএমকে কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে। এই ইস্যু নিয়ে মাঝে মাঝে তাদের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে বঙ্গ বিজেপিও। সূত্রের খবর, সিপিএমের ছাত্র ও যুব শাখার কর্মীদের একটি অংশ চাইছে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি আন্দোলনে না নেমে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে সেখানে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয় নিয়ে আন্দোলনে সামিল হতে। যদিও দলের প্রবীণ অংশের মত, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও সমান্তরালভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রায় অভিযোগ করা হয় রাম ও বাম জোট বেঁধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এমনকী গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ স্মরণ সমাবেশের মঞ্চ থেকে দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ও সিপিএমকে এক সারিতে রেখে তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির ভালো ফলের পিছনে বামেদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের। বামের ভোট রামের ঝুলিতে পড়তেই একলাফে ১৮টি আসন এরাজ্য থেকে হাসিল করে গেরুয়া বাহিনী। সূত্রের খবর, বঙ্গ সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মীদের একাংশ মনে করছে রাজ্যে তৃণমূলকে সরাতে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে সিপিএম ও বিজেপি যৌথভাবে আন্দোলনে নামা প্রয়োজন।
অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, সিপিএম রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যতটা সরব, তার তুলনায় কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ততটাই নরম। সম্প্রতি অত্যাবশ্যকীয় দুধের দাম বৃদ্ধি হোক বা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, তা নিয়ে বঙ্গ সিপিএমকে রাস্তায় দেখা মেলে না। ফলে তলে তলে বিজেপির সঙ্গে লাল ঝান্ডাধারীদের কোনও আঁতাত রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। যদিও বঙ্গ সিপিএমের প্রবীণ নেতারা জানিয়েছেন, তৃণমূল-বিজেপি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাই দুই দলের বিরুদ্ধেই আন্দোলন চলবে।