এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যের মন্ত্রীদের PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের ভাবনা নবান্নের, নেপথ্যে কেষ্ট’র সায়গল

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) ওরফে কেষ্টকে। তিনি এখন সকন্যা দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দী রয়েছেন। তবে তাঁর সেই গ্রেফতারির আগেই তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন গ্রেফতার হন আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED’র হাতে। পরে ED’র তরফে আদালতে সায়গলের বিশাল সম্পত্তির নথি পেশ করা হয়। সেখানেই দেখা যায় তাঁর কাছে ৫০টি বাড়ির দলিল আছে যাদের মোট মূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া রয়েছে ১০টি ডাম্পার, ৬টি পাথর ভাঙার ক্রাশার। তা ছাড়া নগদ ২ কোটি টাকা ছিল ব্যাঙ্কে। এখন নবান্নের নজরে পড়েছে, শুধু সায়গলই নয়, রাজ্যের মন্ত্রীদের সুরক্ষায় থাকা একাধিক Personal Security Officer বা PSO-রা দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রীদের সঙ্গে থেকে যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছে তার মাধ্যমে তাঁদের কেউ কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন। আর তাই এবার এই PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের কথা ভাবছে নবান্ন, আরও বলা ভাল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর(West Bengal State Home Ministry)। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

সাধারণত রাজ্য পুলিশের বাছাই করা কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েই মন্ত্রীদের নিরাপত্তার ডিউটি দেওয়া হয়। বিপদের মুখ থেকে মন্ত্রীকে কীভাবে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসা যায়, তার কৌশল শেখানো হয় তাঁদের। শুধু এদেশে নয়, বিদেশে পাঠিয়েও কখনও কখনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাঁদের। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের Personal Security Officer বা PSO হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এই কর্মীরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত দক্ষ ও ক্ষিপ্র হন। তাঁরা মন্ত্রীকে এমনভাবে ঘিরে থাকেন যাতে, অতর্কিতে হামলা হলেও তার আঁচ যেন ভিভিআইপি’র ওপর না পড়ে। এখন রাজ্যের মন্ত্রীদের সুরক্ষায় একাধিক PSO রয়েছেন। কনস্টেবল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মীরাই এই দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের আগের দিন পর্যন্ত PSO’রা এই কাজ করে যান। মন্ত্রী বদল হলেও তাঁরা আগের জায়গায় থেকে যান। শুধু মন্ত্রী নন, ভিভিআইপি’রাও দেহরক্ষী হিসেবে PSO পান। কোনও কোনও PSO ২০-২৫ বছর ধরে একই কাজ করে চলেছেন। মূলত তাঁরাই মন্ত্রী বা ভিভিআইপি’র বিভিন্ন কাজ সামলান। এমনকী, কেউ কেউ ব্যক্তিগত কাজও করে দেন বলে অভিযোগ। এই পুলিশ কর্মীরা মন্ত্রীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেদের আঙুল ফুলিয়ে কলাগাছ বানিয়ে ফেলেছেন যা মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী জানতে পেরেছেন, এই মন্ত্রীদের সঙ্গে থাকা PSO-রা মন্ত্রীদের সঙ্গে অপর কারোর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা আদায় করে বেড়াচ্ছেন। এমনকী, মন্ত্রী বা ভিআইপি’র অগোচরে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক দুর্নীতিও চালিয়ে যাচ্ছেন। এরাই আবার কাউকে চাকরি পাইয়ে দিতে বা নিয়ম বহির্ভূত সুবিধা পাইয়ে দিতে মন্ত্রীর কাছে তদ্বির করছেন। বিনিময়ে তাঁরা অনৈতিক উপায়ে টাকা রোজগার করছেন। এই সব জিনিস মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসায় তিনি এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঠিক করা হয়েছে এবার থেকে কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে Assistant Sub Inspector বা ASI হওয়ার পর সব PSO-কে মন্ত্রীদের পাশ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁদের থানা বা ফাঁড়িতে পাঠিয়ে ফিল্ড ওয়ার্কে নামানো হবে। লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেই এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করে দেবে রাজ্য সরকার। এমনকি সেই সময়ে কোনও মন্ত্রী যদি তাঁর পাশে থাকা কোনও PSO-কে না সরানোর অনুরোধও করেন তাহলেও তা শোনা হবে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’ রাজ্যপাল বোস

অভিজিতের এফআইআর খারিজের আর্জি শুনবেন বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষ

‘সত্যের জয় হল’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন জীবনকৃষ্ণ সাহা

বেআইনি নির্মাণে মিলবে না পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা, নয়া নির্দেশ কলকাতা পুরসভার  

রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির পিয়ালি দাস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর