নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত নিয়ে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারে নিয়ন্ত্রণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে এবং তাঁর স্বামী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে তদন্তকে ঢাল করে মিথ্যা ও অর্ধ সত্য খবর প্রকাশ করে চলেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ওই আবেদনের শুনানিতেই বুধবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। সেই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের বিরোধিতা করে কেন রুজিরা আদালত অবমাননার মামলা করছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
রুজিরার মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “একটা সাংবিধানিক আদালত যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে থাকে তাহলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল ব্যবস্থা নয়। তবে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালান্স থাকা উচিত। সেটা দেখতে হবে।”
পাশাপাশি সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, “এই অভিযোগ নিয়ে একজন বিদেশি আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন, কিন্তু তাঁর নাগরিক অধিকার রক্ষার দাবি আযৌক্তিক। কারণ তিনি এই দেশের নাগরিকই নন”।
উল্লেখ্য, মৌলিক অধিকার রক্ষার আইনের ভিত্তিতে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন রুজিরা। সোমবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য্যের এজলাসে মামলাটি ওঠে। তবে কেন্দ্রের সহকারী সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য্যের আবেদনে মামলার শুনানি অন্তর্বর্তী স্থগিত রাখে আদালত।
