নিজস্ব প্রতিনিধি: যানজট থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে খড়দহে উড়ালপুল তৈরীর উদ্যোগ নিলেন বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর আগে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসাবে অমিত মিত্র এলাকায় উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু দোকানদারদের পুনর্বাসনের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যার জটে সেই প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। এবার আবার উড়ালপুল নির্মাণে উদ্যোগী হলেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
খড়দহে কোন পথে হবে উড়ালপুল তা নিয়ে আবার শুরু হয়েছে চর্চা। আর এই প্রকল্প রুপায়ণ করতে পুনরায় সমীক্ষা করা হবে। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পূর্বাচল এবং আদর্শপল্লির দিকে উড়ালপুল নির্মাণ করা সম্ভব কি না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন মন্ত্রী এবং পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। উড়ালপুল নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব জানান, মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা এই এলাকার জ্বলন্ত সমস্যা। এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে উড়ালপুল নির্মাণ করা জরুরি। উড়ালপুল তৈরী করতে সমীক্ষা করা প্রয়োজন। এবার সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রেলগেট লাগোয়া কোন এলাকা থেকে উড়ালপুল তৈরি করা সম্ভব তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্টেশনের পূর্বদিকে যেমন রয়েছে রহড়া বাজার, রামকৃষ্ণ মিশন, ভবনাথ স্কুল-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে স্টেশনের পশ্চিমদিকে রয়েছে খড়দহ পুরসভা, থানা, হাসপাতাল, ফেরিঘাট। দুই দিকের ব্যাপক মানুষের চলাচলের পথে রেল গেটের কারণে যানজট তৈরী হয়। প্রায় দেড় লাখ মানুষ বসবাস করেন খড়দহ পুরসভায়। ২২টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই পুরসভায় উড়ালপুল নির্মাণ হলে যাতায়াত সহজ হবে পুরবাসীর।
তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর খড়দহে উড়ালপুল তৈরীর জন্য উদ্যোগী হন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই কারণে সমীক্ষাও করা হয়েছিল পূর্তদফতরের উদ্যোগে। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১০৭ কোটি টাকা। কিন্তু দোকানদের পুনর্বাসন নিয়ে জট তৈরী হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে সেই টাকা ফেরত পাঠাতে হয়েছিল। এবারে সমীক্ষার পর তৈরি হওয়া ডিপিআর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে শুরু হবে কাজ।