নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদিফাটা রোদ্দুর। পেটে জ্বলছে খিদের আগুন। অনেকে এগিয়ে যান রাস্তার পাশে কাটা ফলের দিকে। কিছু না ভেবেই টপাটপ মুখে পুরে নেন। এই সময়ে তেষ্টা মেটাতে বহু পথচলতি মানুষ যেখান-সেখান থেকে জল পান করেন। কিংবা রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া আইসক্রিম, রঙিন শরবত বা লেবুর জল কিনে পান। এতে সংক্রমণের হার খুব বেশি থাকে। এর ফলে পেটে মোচড় সাথে হতে পারে হিট স্ট্রোক।। আমাশা, টাইফয়েড, ডায়েরিয়া-সহ নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে দেহে।সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
কাটা ফলের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বেশি। এছাড়াও, এটি খেলে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কাটা ফল খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। তাই ফলগুলো কেটে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে এই কাটা ফলে মাছি,ধুলো জমে তা পেট খারাপের কারণ হতে পারে।বাড়তে পারে সংক্রমণ। শুধু তাই নয় যত্রতত্র জলপানের ফলে এই সময়ে হেপাটাইটিস এ-তে অনেকে আক্রান্ত হন। অর্থাৎ, জন্ডিসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, শরবতের জল ও বরফ বিশুদ্ধ না হওয়ায় সালমোনেলা নামক এক ধরনের ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণও বেড়ে যায়।তার থেকে ডায়েরিয়া, বদহজম হতে পারে।
সাবধনাতা : ১)কাটা ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ফলগুলি কাটার পরে বেশিক্ষণ রাখা উচিত নয়, সেগুলি অবিলম্বে খাওয়া উচিত। এর কারণ ফলমূলে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান কেটে ফেলার ফলে নষ্ট হয়ে যায় যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়।২) ফলের খোসা ছাড়বেন না। আপেল এবং পেয়ারার মতো ফল খেয়ে থাকেন তাদের খোসা ছাড়িয়ে, তবে এটিও ফল খাওয়ার সঠিক উপায় নয় । ৩)ভরপেট খাবার পর ফল খাবেন না। ফল হজম হতে সময় নেয়,খাবার পরে খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ বাড়ে।তাই খাবার আগে ফল খাবেন।ফল খাবার কিছুসময় পরেই খাবার খাবেন। ৪)রাস্তার ধারে কাটা ফল ঢেকে রাখা থাকলেই একমাত্র খাবেন। অনথ্যা এড়িয়ে চলবেন।