নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই কালী পুজো আসন্ন, তার ঠিক কিছুদিন আগেই বাংলায় পালিত হবে ভূত চতুর্দশী। অন্যদিকে, এই সময় ইউরোপ ও আমেরিকায় জনপ্রিয় হ্যালোউইন উত্সব এখন আমাদের দেশেও অনেক জায়গাতেই পালিত হয়।
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর মৃত আত্মাদের স্মরণে হ্যালোউইন পালিত হয়। ‘হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। যার উৎপত্তি ১৭৪৫ সালে। এই শব্দের অর্থ পবিত্র সন্ধ্যা। এই দিনে ভয়ঙ্কর পোশাক পড়ে এই উৎসবে মেতে ওঠেন পশ্চিমী দেশগুলি। তবে বর্তমানে ভারতেও পড়েছে এর প্রভাব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যালোউইন প্রাচীন আর্যদের একটি উৎসব, যা ফসল কাটার শেষ দিন পালন করা হয়। প্রায় দুহাজার বছরের পুরনো এই উৎসব। এদিন সাধু, মহাপুরুষ ও শহীদদের স্মরণ করা হয়। সাধুদের সম্মান জানিয়ে, সেই আত্মার জন্যে প্রার্থনা করা হয় যারা এখনও স্বর্গে পৌঁছাননি। শোনা যায়, আয়ারল্যান্ডবাসীরা এদিন হ্যালোইনের পোশাক পড়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মৃতদের জন্যে গান গাইত এবং সেখানে তাঁদেরকে পারিশ্রমিক হিসাবে কেক দেওয়া হত।
হ্যালোউইনে একটি বহুল প্রচলিত জিনিস হল কুমড়ো। এই সময় কুমড়ো খোদাই করার রীতির প্রচলন শুরু হয়, তাই বছরের পর বছর এই সময় কুমড়ো জ্বালাতে থাকে লোকেরা। আর এভাবেই হ্যালোউইনে এটি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। অনেকে তাদের বাড়িতে কাকতাড়ুয়া এবং ভুট্টার ভুষি দিয়ে সাজায়।