নিজস্ব প্রতিনিধি: জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। পেট্রোল, ডিজেল থেকে দৈনন্দিন জীবনের নানা সামগ্রীর আকাশছোঁয়া দামের দরুন, মধ্যবিত্তরা রীতিমতন নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। এদিকে সামনে বিয়েতে অনেক খরচ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে আবার বিয়ের পরেই হানিমুন যাওয়ার একটা উন্মাদনা সবার মধ্যেই কাজ করে। সুতরাং এত খরচ শুনেই যেন মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাই না। চিন্তা নেই কম খরচেই কি করে হানিমুন সারবেন, সেই নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। মোটামুটি জনপ্রতি ছয় হাজার টাকার মধ্যেই হানিমুন করার কিছু জনপ্রিয় ডেস্টিনেশনের খোঁজ রইল আপনাদের জন্যে।
দার্জিলিং
কম খরচে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় এবং বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র দার্জিলিং। যাকে ছোটোখাটো কাশ্মীরও বলা চলে। দার্জিলিং-এ গিয়ে টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, ঘুম,পদ্মজা নাইডু জুলজিক্যাল পার্ক সবকিছু নিয়ে একবারে পারফেক্ট হানিমুন প্যাকেজ। চা বাগানে ঘোরাঘুরি, ম্যাল ভ্রমণ তো আছেই। আর গরমের ছুটিতে দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে যদি ভাগ্যক্রমে বৃষ্টির দেখা পান তাহলে তো কোনো কথাই নেই। জলে ভরা তিস্তা নদীর নজরকাড়া রূপ একবার না দেখলে জীবনটাই যে বৃথা।
আলেপ্পি
কেরালার অপূর্ব সুন্দর এই শহর আলেপ্পি, যাকে প্রাচ্যের ভেনিসও বলা যায়। ব্রিটিশ আমল থেকেই সচেতন নাগরিকদের কল্যাণে শহরের যৌবন এবং সোন্দর্য্য অটুট। চারদিকে সমুদ্র এবং হ্রদের ছড়াছড়ি। শহর ঘুরে দেখতে পারবেন স্থাপত্য-ভাস্কর্য বা ভবনগুলি। যা ইতালির কথা মনে করাবে। আলেপ্পিতে আছে ভেমবানাড় হ্রদ, আলেপ্পি বিচ, মারারি বিচ, কৃষ্ণপুরম প্যালেস, পথিরমনল, কুট্টানড় ব্যাকওয়াটার, আর্থুকল চার্চ, অম্বালাপুঝা মন্দির, মন্নারশালা মন্দির, কারুমাদিকুট্টন মূর্তি, সেন্ট মেরি রোরান চার্চ, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয়।
কোভালম
হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে কেরলের কোভালম সমুদ্র সৈকতে একবার ঘুরে আসুন। এত সুন্দর, পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত সত্যই আর কোথাও পাবেন না। এখানকার লাল-সাদা আলোর লাইটহাউজ বিশেষ আকর্ষণ। কোভালমের সঙ্গেই আছে হাওয়া সৈকত এবং সমুদ্র বিচ। সারাটা দিন কেটে যাবে। এছাড়া সৈকতের কাছেই আছে ভিঝিনজাম জামা মসজিদ এবং সাগরিকা মেরিন রিসার্চ অ্যাকোয়ারিয়াম। সুতরাং আপনার হানিমুন একেবারে জমে যাবে।
ধরমশালা
হিমালয়ের বুকে অপূর্ব সুন্দর এই শহরটির নাম ধরমশালা। এটি মূলত একটি তীর্থক্ষেত্র। এখান প্রচুর মঠ-মন্দির পাশাপাশি রয়েছে মেকলিয়ড গঞ্জ। তীর্থে আগ্রহ না থাকলে এই মেকলয়েড গঞ্জে ছুটি কাটাতে পারেন। ধরমশালা থেকে ডাল লেক, ভাগসু জলপ্রপাত, ইন্দ্রধর পাস বেশ কাছে। এছাড়া রয়েছে দলাই লামার প্রশাসনিক দফতর। তাই ভাগ্যে থাকলে দর্শন হতেই পারে দলাই লামারও।
মুন্নার
কেরালার মুন্নার। কেরলের যাবতীয় সৌন্দর্য যেখানে এই ছোট্টো পাহাড়িয়া গ্রামটিতে এসে জমা হয়েছে। পাহাড়ের গায়ে থরে থরে সাজানো চা বাগান যেন পরম তৃপ্তির একটি জায়গা। পাশাপাশি আছে ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং, নৌকা বিহারের দারুণ সুযোগ। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এই শহরটি যেন সবুজে মোড়া চারিদিকে। এছাড়া মুন্নারে আছে, এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান, মাত্তুপেট্টি বাঁধ, পোথামেড়ু ভিউ পয়েন্ট, আনাইমুদি, ব্লসম পার্ক, চিথিরাপুরম, রাজামালা, টপ স্টেশন, মারায়ুরডলমেনস্, ইন্দো সুইস ডেয়ারি ফার্ম, লাইট অফ পাই চার্চ।