নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে জাঁকিয়ে পড়েছে ঠাণ্ডা। তাই রয়েছে সর্দি-কাশির মত ভয়াবহ রোগের সম্ভাবনা। ওমিক্রন থেকে বাঁচতে উচিত শরীরের হিমিউনিটি বৃদ্ধি করা। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। জেনে নিন ওমিক্রন থেকে দূরে থাকতে কি খাবেন।
১. ভিটামিন সিঃ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন-সই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেয়ারা, কমলালেবু, আমলকি, বেরির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সই। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে এবং শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
২. পালং শাকঃ প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ পালং শাক। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। পালং শাক কখনই পুরোপুরি সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত নয় তা না হলে এর সব পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
৩. লাল ক্যাপসিকামঃ এতে রয়েছে তিনগুণ বেশি ভিটামিন সি। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি ত্বক ও চোখকে সুস্থ রাখে। লাল ক্যাপসিকামে উপস্থিত লাইকোপিন অনেক মারাত্মক রোগ থেকেও রক্ষা করে।
৪. দইঃ যারা প্রতিদিন দই খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। দই ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে।
৫. বাদামঃ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে ভিটামিন ই থাকা প্রয়োজন। ভিটামিন ই এর পাশাপাশি বাদামে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়।
৬. পেঁপেঃ পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। পেঁপে খেলে হজম প্রক্রিয়াও ভালো থাকে। পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এই সমস্ত জিনিস শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে।
৭. মাছ-মাংসঃ বেশি ঠাণ্ডায় মাংসের স্যুপ বরাবর রোগের হাত থেকে উপশম দেয়। মুরগির মাংসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি৬। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সঙ্গে মাছে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।