নিজস্ব প্রতিনিধি : হনুমানজির মন্দির বা বাড়ির পুজোর ঘরেও যখন হনুমানজির পুজো করা হয়ে থাকে, তখন বজরংবলীকে সিঁদুর অর্পণ করা হয়। এই সিঁদুর হনুমানজির পায়েও দেওয়া হয়।অথচ তিনি পুরুষ তার ওপর তিনি ঘোর ব্রহ্মচারী,এই প্রশ্ন সকলের মনে থাকে।তাহলে জেনে নিন কেন হনুমানজি’কে সিঁদুর দিয়ে পুজো করা হয়।
এই নিয়ে একাধিক মত আছে-কথিত আছে যে একদিন সীতা কে সিঁদুর পরতে দেখে জিজ্ঞেস করেন কি এটা আর কেন পরা হচ্ছে,এতে সীতা মা বলেছিলেন তাঁর স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার জন্য সিঁদুর পরেন তিনি। হনুমান তখন ভাবেন যদি সিঁদুরই তাঁর ঈশ্বরের (রাম) দীর্ঘায়ুর চাবিকাঠি হয় তাহলে তিনিও সিঁদুর পরবেন। তাই সীতার কথা শুনেই নিজের পুরো শরীরেই সিঁদুর মেখে নেন।রামের প্রতি শিষ্যের এই ভক্ত দেখে রাম আশির্বাদ করেছিলেন যে সবাই তাকে সিঁদুর দিয়ে পুজো করবে।
অন্যদিকে বলা আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ আছে, তা হল রাম যখন লঙ্কা জয় করে অযোধ্যা ফিরে আসেন, তখন সীতা তাঁর মুক্তোর মালা হনুমানকে উপহার দেন।তিনি সীতার কাছে পুত্রের মতো প্রিয় ছিলেন।কিন্তু সেই মুক্তোগুলি হনুমান দাঁত দিয়ে ভেঙে ফেলেন।সীতা কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এতে কোথাও ভগবান রামচন্দ্রের নাম লেখা নেই। তাহলে আমার কী লাভ? তখন সীতা বলেন, ‘আমি এই সিঁদুর আমি ভগবান শ্রী রামের নামে লাগাই, এটা তুমি রাখো।’ তখন হনুমান সীতার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সিঁদুর নিয়ে নিজের সারা শরীরে লাগিয়ে নেন। কারণ সেই সিঁদুরে রাম নাম লেখা আছে।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে হনুমানকে সিঁদুর দান করলে তিনি সেই সিঁদুর নিজের গায়ে মাখেন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করেন। হনুমানজি-কে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে সংসারে সুখ,শান্তি আসে।