এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  পৃথিবীর এমন কিছু বিমানবন্দর রয়েছে যা বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় রয়েছে। পৃথিবীর কয়েকটি বিমানবন্দর বিভিন্ন কারণে হয়ে উঠেছে সবার ত্রাসের কারণ। হাতে প্রাণ নিয়ে এইসব বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠেন যাত্রীরা। জেনে নিন কোন কোন বিমানবন্দর রয়েছে সেই তালিকায়।  

চার্চভেল বিমানবন্দরঃ বিপজ্জনক বিমানবন্দরের কথা বললেই প্রথমে আসে ফ্রান্সের চার্চভেল বিমানবন্দরের কথা। এই বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমানের অবতরণ সেই অর্থে না হলেও প্রাইভেট বিমানের অবতরণ হয়েই থাকে। এই বিমানবন্দরটি হল মূলত স্কি এরিয়ায়। এই বিমানবন্দরের বিমান ওঠা-নামা দুই করতেই ভীষণ সমস্যা হয় যা একপ্রকার কঠিন কাজ বলা যায়। এই বিমানবন্দরে সবরকমের দুর্ঘটনার কারণ মজুত রয়ে্মে। হলিউডের বেশ কিছু ছবিতে ফ্রান্সের এই বিমানবন্দরকে তুলে ধরার পর তা খানিক পরিচিতি পেয়েছে। এখানকার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৫২৫ মিটার । এই ছোট রানওয়েতে বিমান ওঠা নামা কর‍তেই শুধু নয় বিমান ঘুরতেও সমস্যা হয়। এছাড়াও থাকে প্রাকৃতিক বাধা। কুয়াশা ও মেঘের কারণে বেগ পেতে হয় পাইলটদের। সবকিছু মিলিয়েই এই বিমানবন্দরে দুর্ঘঘটনা বেশি আর তাই বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় এটি রয়েছে একেবারে শীর্ষে।  

লুকলা এয়ারপোর্টঃ এই বিমানবন্দর তেনজিং-হিলারি এয়ারপোর্ট নামেও পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক ও বিপজ্জনক এয়ারপোর্ট হিসাবে ২০১০ সালে এই বিমানবন্দরটি পরিচিত হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।  জনকোলাহল থেকে দূরে অবস্থিত এই বিমানবন্দর পুরোপুরি পাহাড়বেষ্টিত। যা এই বিমানবন্দর পাইলটদের কাছে এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখানকার রানওয়েতে বিমান নামানোই সবথেকে কঠিন বিষয়। পাহাড়ের গা ঘেঁষে নেমে আসা মেঘ ও খারাপ আবহাওয়া সবকিছু মিলিয়ে এই বিমানবন্দর বিপজ্জনক বিমাবন্দরের তালিকায় রয়েছে। 

ম্যাট্রিকান এয়ারস্ট্রিপঃ ম্যাট্রিকান এয়ারস্ট্রিপের কথা অনেকেরই জানা। পাহাড়ের একপাশ কেটে বানানো এই বিমানবন্দরে সবথেকে বড় আতঙ্ক এখানকার রানওয়ে।  রানওয়ে ধরে বিমান এগোতে এগোতে শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই রানওয়ে।। এক্ষেত্রে ফ্লাইট যদি টেকঅফ করে সেক্ষেত্রে রক্ষে নাহলে একেবারে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে রানওয়ে শেষে বিশাল গহ্বরে। শুধু তাই নয় বিমান অবতরণের ক্ষেত্রেও ওই একই সমস্যা দেখা যায়। বিশাল শূন্য গহ্বর থেকে বায়ুর ঘূর্ণি বিমান অবতরণকে আরও দুরুহ করে তোলে। 

মেডেইরাঃ পর্তুগালের এই বিমানবন্দর নির্মিত হয় ১৯৬৪ সালে। এই বিমানবন্দরেও সুউচ্চ পর্বত ও সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ার ফলে ও স্বল্প পরিসর ও ছোট রানওয়ের জন্য অভিজ্ঞ পাইলটদেরও এখানে বিমান অবতরণ করতে ভীষণরকম বেগ পেতে হয়। এই বিমানবন্দরের মূল রানওয়ে ছিল এক সময়ে মাত্র ১৪০০ মিটার পরবর্তীকালে তা আরও ৪০০ মিটার বাড়ানো হয়। সর্বশেষে জানা যায় ২০০৩ সালে এই রানওয়ে দ্বিগুন করা হয়েছে। 

সি আইসঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত এটিই পৃথিবীর একমাত্র বরফের বিমানবন্দর। মূলত এই বরফে গবেষণারত গবেষকদের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য আনা নেওয়ার জন্য যে বিমানবন্দরগুলি ব্যবহৃত হয় তাঁর মধ্যে এটি একটি। যা বরফে ঢাকা বিমানবন্দর হিসাবে পরিচিত। বরফে ঢাকা এই বিমানবন্দরে বিমান ওঠা নামার জন্য পাইলটদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিমান ওঠা নামায় তাড়াহুড়ো করলে বা একটু অসতর্ক  হলেই ওঁত পেতে থাকে বিপদ।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শিশুদের চুল ন্যাড়া করালেই কি গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে! কি বলছেন চিকিৎসকেরা

গরমের দাবদাহে ডিম খাওয়া উচিত, কী বলছেন চিকি‍ৎসকেরা?

গরমে কুপোকাত! উত্তরাখণ্ডের শৈলশহরে ঘুরে আসতে পারেন

জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ উদ্ভিদের জাদুঘর! দেখে নিন সুন্দরবনের বিশেষ স্থান

আইসক্রিম কি শরীর ঠান্ডা রাখে না গরম ? জেনে নিন কি বলছেন চিকিৎসকেরা

তীব্র তাপপ্রবাহে শিশুর যত্ন নেবেন কিভাবে!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর