নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবনের নাম শুনলেই বোঝা যায় জঙ্গল কত সুন্দর। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। একে লবনাক্ত বনাঞ্চল ও বলা হয়। এখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ নানান বিচিত্র পাখি,হরিণ,কুমির,সাপ ও মাছ রয়েছে। প্রায় ৩৫০ প্রজাতির এখানে উদ্ভিদ, ২৭০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও নানরকমের উভচর প্রাণীর বাস। সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে একে সুন্দরবন নাম আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে সুন্দরবনের স্বাদ পেতে প্রকৃত স্থানগুলো কিন্তু যেতেই হবে।
দুবলার চর : কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে দুবলা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে লাল বুক মাছরাঙা, মদনটাক পাখির দেখা মেলে। এখানকার সৌন্দর্যের একটি দিক হচ্ছে হরিণের ঘাস খাবার দৃশ্য। দুবলার চর মূলত জেলে গ্রাম। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শোকানোর কাজ। বর্ষা মৌসুমের ইলিশ শিকারের পর বহু জেলে চার মাসের জন্য এখানে এসে থাকেন। এছাড়াও এখানকার অন্য বিশেষত্ব হল প্রতিবছর অসংখ্য পুণ্যার্থী রাসপূর্ণিমাকে উপলক্ষ করে এখানে সমুদ্রস্নান করতে আসেন।
হিরণ পয়েন্ট বা নীলকমল : এটি সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। কি নেই এখানে! বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি এবং সরিসৃপ, মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ সহ বহু প্রজাতির আবাসস্থল এটি। এছাড়াও রং বেরং এর প্রজাপতি থেকে শুরু করে প্রচুর কাঁকড়ার বাস এখানে।
মান্দারবাড়িয়া সৈকত : এই সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব প্রকৃতি যেন নেশা ধরিয়ে দেয়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে যেন লাল হয়ে ওঠে বেলাভূমি। এই অপরূপ দৃশ্য না দেখলে সত্যিই মিস করবেন। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই যেতে হবে মান্দারবাড়িয়া সৈকতে।
কিভাবে যাবেন : সুন্দরবনে পৌছানোর সবথেকে ভালো পথ হল লোকাল ট্রেন। শিয়ালদহ সাউথ সেকশন থেকে সকাল ৭টা ১৪ নাগাদ নামখানা লোকাল আছে , এই লোকালে চেপে ১০টা নাগাদ নামখানা পৌছে যাওয়া যায়। নামখানা থেকে অটো ধরে সোনাখালি যেতে হবে। সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবন।