নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: জঙ্গি ও নকশালদের আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সরবরাহের অপরাধে একই সঙ্গে ২৪ পুলিশ কর্মীকে ১০ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক বিজয় কুমার ওই সাজা শুনিয়েছেন। ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
মামলার সরকারি আইনজীবী প্রতাপ সিং মৌর্য শনিবার সাংবাদিকদের জানান, ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল রামপুরের সিভিল লাইনস থানার অন্তর্গত জ্বালা রেলওয়ে ক্রসিং থেকে সিআরপিএফের দুই হাবিলদরকে পাকড়াও করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ইনসাস রাইফেল, কার্তুজ ও নগদ টাকা উদ্ধার হয় তাদের কাছ থেকে। ধৃত দুই সিআরপিএফ কর্মীকে জেরা করেই নকশাল ও জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টির পর্দাফাঁস হয়। এর পরে বস্তি, বারাণসী ও গোন্ডার বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে একাধিক পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে নেমে এসটিএফের আধিকারিকরা জানতে পারেন, চক্রের মূল পাণ্ডা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর যশোদানন্দ।
গ্রেফতারকৃত পুলিশ ও সিআরপিএফ কর্মীরা বেশ কয়েক বছর জামিনে মুক্তি পান। মামলা চলাকালীন মারা যান মূল অভিযুক্ত যশোদানন্দ। গত বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত ২৪ পুলিশ কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেন রামপুর আদালতের বিশেষ বিচারক বিজয় কুমার। শুক্রবার ২৪ জনকে ১০ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। সাজা ঘোষণার সময়ে আদালতে হাজির ছিলেন দোষ্র সাব্যস্ত ২৪ পুলিশ কর্মী। সাজা ঘোষণার পরেই তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়।