প্রচলিত আছে, গুরুদেব একদিন অবিভক্ত মেদিনীপুরের (ঝাড়গ্রাম জেলা)-র ওপর দিয়ে রেলপথে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ বিগড়ে গেল ট্রেন। অগত্যা নেমে পায়চারি করছেন এদিক-ওদিক। আলাপ জমাচ্ছেন লোকের সঙ্গে। জনৈক একজনকে যেতে দেখে বললেন; এখানেই থাকা হয়? গ্রামের লোকের জবাব; হ্যাঁ, এদিকেই। গুরু প্রশ্ন করলেন জায়গার নাম কি? হয়তো সে নতুন এসেছিল এই গ্রামে বা গ্রাম থেকে একটু দূরে থাকত। তার উত্তর ছিল, জানি না ।
গুরুদেব (RABINDRANATH TAGORE) মজা করে বললেন; জায়গার নাম জানা নেই! তোর বোধ নেই। রবি ঠাকুর বলেছেন, বোধ নেই। ব্যাস কথা গেল চাউর হয়ে। বোধ নেই থেকে তা হল বোধ নাই। অবশেষে মুখে মুখে বোধ না। লোক মুখে জায়গার নাম হয়ে গেল ‘বোধনা’।
এখন যেখানে ‘লীলাবতী শিক্ষা সদন’ সেই বাড়িতেই না কি রবি বাবু দিন কাটিয়েছিলেন। শোনা যায় এরকম অরণ্য ঘেরা পরিবেশে তিনি আশ্রম গড়তে চেয়েছিলেন। পরে কোনও অজানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। আচ্ছা এখানে শান্তিনিকেতন হতে পারত! কে জানে! তবে লোকমুখে সেই কথা ছড়িয়েছে।
এলাকাবসী ‘বোধনা’ তেই গর্বিত। রবি ঠাকুর নাম দিয়েছেন বলে কথা!
-নিসর্গ নির্যাস