এই মুহূর্তে




সপ্নাদেশে শুরু মায়ের পুজো ! ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করেন দেবী

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রত্যেক বছর চাতক পাখির মত উমা আসার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। দিকে দিকে ছেয়ে যায় মাতৃশক্তির আরাধনা। দুর্গা পুজো প্রকৃতপক্ষে নারীশক্তির জয়।  মায়ের আগমনীতে খুশিতে ভাসে ভক্তরা। দিব্য অস্ত্রে সজ্জিত আদ্যাশক্তি মহামায়া (দেবী দুর্গা) অসুরকুলকে একে একে বিনাশ করে স্বর্গ তথা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে শান্তি নিয়ে আসেন। দশভূজার দশটি হাত দশ দিকের প্রতীক। নদীয়া জেলার তেহট্টের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারেও সেজে ওঠে মহিষাসুরমর্দিনী। তবে মায়ের পুজো হয় বিশেষ রীতি মেনে। গঙ্গোপাধ্যায় পরিাবারের কাছে রয়েছে তালপাতার পুঁথি। তাতেই লেখা রয়েছে দেবীর পুজোর রীতি।

আজ থেকে প্রায় ২৭১ বছর আগে শুরু হয় গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের পুজো। এই পরিবারে তালপাতার পুঁথিতে ছত্রে ছত্রে লেখা রয়েছে সমস্ত নিয়ম। মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে মায়ের বোধনের নিয়ম ও বিসর্জনের রেওয়াজ এমনকী পুজোর সময়কালও লিপিবদ্ধ রয়েছে তালাপতায়। প্রত্যেক বছর দশভূজার পুজোর আয়োজন করে তেহট্টের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার।

দেবীর কাঠামো তৈরির জন্য বাঁশ কাটা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করেন মৃৎশিল্পী। তাঁরা বংশপরম্পরায় এই পরিবারে দুর্গার মূর্তি তৈরি করছেন। বোধনের দিন পুজো শুরু। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ‘আমন্ত্রন অধীবাস’ করা হয়। অর্থাৎ পারিবারিক বহুমূল্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাজানো হয় দেবীকে।

সপ্তমীর দিন থেকে সন্ধ্যায় শুরু হয় অর্ধরাত্র পুজো। অষ্টমীর সকালে ১০৮ ঘড়া জল দিয়ে দেবীকে স্নান করানো হয়। এর পর ‘দুর্গা সহস্র শ্লোক’ পাঠ করে অষ্টমী পুজো শুরু হয়। সেই দিনই বন্দুকের তোপ ধ্বনির মাধ্যমে সন্ধ্যা আরতি করা হয়।

মাকে নবমীর দিন দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ। এই বনেদি বাড়িতে ‘সপ্তশতী যজ্ঞের’ মাধ্যমে নবমীর পুজো শেষ হয়। দশমীর দিন নিয়ম মেনে পুজোর পর জলঙ্গিতে বিসর্জন দেওয়া হয় মাকে।

শোনা যায়,ছয় প্রজন্ম আগে অবিনাশ গঙ্গোপাধ্যায় দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। তখন দেবী অবিনাশ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্বপ্নে দেখা দিয়ে আদেশ দিয়েছিলেন যে, যেমন অবস্থায় যেমন রুপে মায়ের দেখা পেয়েছেন অবিকল সেই রুপেই মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে।

সেইমতো দেবীর মূর্তি তৈরি করে শুরু হয় মহামায়ার পুজো। তবে প্রথম এই পুজো হত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে। পরে পরিবার তেহট্টে চলে আসে। বর্তমান বাস ভবনে নতুন করে শুরু হয় গঙ্গোপাধ্যায়দের পুজো। সেই থেকে চলে আসছে এই পুজো।

বর্তমান গঙ্গোপাধ্যায়ে পরিবারের বংশধর পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় ও সুস্নাত গঙ্গোপাধ্যায় পুজোর পরিচালনা করেন।সুস্নাতবাবুর কথায়, ‘বংশ পরম্পরায় বছরের পর বছর ধরে একই রীতিরেওয়াজ মেনেই পুজো হয়ে আসছে এই পরিবারের। কোনও পরিবর্তন হয়নি। মৃৎশিল্পীরাও বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন। পাশাপাশি ঢাকিও রয়েছে একই নিয়মে। পরিবারের পুজো হয় বাড়িতে সংরক্ষিত তালপাতার পুঁথি মেনেই ।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

নদিয়া জেলার কোন কোন পুজো পেল বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান?

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি শৃঙ্গ জয় করে রেকর্ড নেপালি কিশোরেরর

দুর্গার এই মন্ত্র জপুন, কেটে যাবে সব বিপদ-বাধা

আগামী বছর এগিয়ে আসছে দুর্গাপুজো, কবে শুরু জেনে নিন…

বেলগাছকে দুর্গা রূপে পুজো, আজও বলির নিয়ম চলে আসছে শীল বাড়িতে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর