নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: রাজনীতি তাদের দুজনের পথ ভিন্ন করে দিয়েছে। একজন কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাসী। অন্যজন মায়াবতীর দলের মতাদর্শে আস্থাশীল। একজন কংগ্রেসের বিধায়ক। অন্যজন লোকসভা ভোটে বসপার হয়ে লড়ছেন। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ যাতে সুখী দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে না আনে তার জন্য ঘর ছেড়ে অস্থায়ীভাবে অন্যত্র ডেরা বেঁধেছেন স্বামী। ১৯ এপ্রিল লোকসভার প্রথম দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পরেই ফের নিজের নীড়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গল্প নয়। সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে গোবলয় মধ্যপ্রদেশে। বালাঘাট আসনে এবারের ভোটে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক কঙ্কর মুনজারে। তাঁর স্ত্রী অনুভা মুনজারে আবার বালাঘাটের কংগ্রেস বিধায়ক। ভোটের লড়াইয়ে নিজের স্বামীর পাশে দাঁড়াননি অনুভা। বরং দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দিনরাত এক করে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক আনুগত্য বিসর্জন দেননি। আর তাতেই গোঁসা হয়েছে স্বামী কঙ্কর মুনজারের। ভোট না মেটা পর্যন্ত স্ত্রীকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকার ফরমান দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ফরমান মানেননি অনুভা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, শ্বশুরের ভিটে ছেড়ে কোথাও যাবেন না। আর স্ত্রীর ওই অনড় অবস্থানের পরেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকার সিদ্ধান্ত নেন কঙ্কর। গতকাল শুক্রবার বাড়ি ছেড়েছেন তিনি।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে কঙ্কর জানিয়েছেন, তার সঙ্গে তার ধর্মপত্নীর রাজনৈতিক মতাদর্শের আকাশ-পাতাল তফাৎ। তাই ভোট না মেটা পর্যন্ত একই ছাদের তলায় না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯ এপ্রিল ভোট মেটার পরেই নিজের বাড়ি ফিরবেন। স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে খানিকটা হলেও বিস্মিত বালাঘাটের কংগ্রেস বিধায়ক অনুভা মুনজারে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে কঙ্কর গন্ডোয়ানা স্বতন্ত্র পার্টির হয়ে পারাসওয়াড়ায় লরেছিলেন। আমি কংগ্রেসের হয়ে বালাঘাটে দাঁড়িয়েছিলাম। তখনও একই ছাদের তলায় ছিলাম দুজনে। গত ৩৩ বছর ঘর সংসার করছি। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটছিল। কিন্তু এবার স্বামীর এমন সিদ্ধান্ত আমাকে হতাশ-ই করেনি, প্রচণ্ড কষ্ট দিয়েছে।’