নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার গ্রাম বা আধা গ্রাম্য এলাকায় কাশফুল ফুটতে দেখলেই বোঝা যায় দুর্গাপুজো আসন্ন। আকাশে সাদা সাদা মেঘের ভেলা এবং মাটিতে কাশবনে কাশের দোলা হল দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা। কিন্তু এই কাশবনের সৌন্দর্যই যদি হয়ে ওঠে অপরের বিরক্তির কারণ? তাহলে কী হতে পারে ভেবে দেখেছেন? বিরক্তি ও রাগে গোটা কাশবনেই আগুন ধরিয়ে দিলেন উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ এলাকায়। খুলেই বলা যাক এই রাগের কারণ সম্পর্কে।
বাংলাদেশের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশেই চৌঘরী এলাকা, ওই রাস্তার ধারে এই সময়টা ঘন কাশবন তৈরি হয় প্রতিবছরই। আর শরৎকালে এই কাশফুল দেখতে আশেপাশের অনেকেই সেখানে ভিড় জমান। স্থানীয়দের দাবি, এটাই তাঁদের বিরক্তির কারণ। ওই কাশবনের আনাচে কানাচেই চলছে উদ্দাম যৌনতা। একাধিক যুবক-যুবতী এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও যৌনতায় মেতে উঠছেন ঘন কাশবনের আড়ালে। পুরো বিষয়টি নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সরব হয় স্থানীয় কয়েকজন। এরপরই এলাকাবাসী গোটা কাশবনটিই আগুন লাগিয়ে ছাইয়ে পরিনত করে ফেললেন।
যদিও স্থানীয় প্রশাসন এই ব্যাপারে অন্ধকারেই বলে জানা যাচ্ছে। গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, আগুন কে বা কারা দিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেও কিছু জানা যায়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তবে তাঁর বক্তব্য, ওই কাশবনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাই সরকার এই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারে না। কারণ এই আগুনে কারোর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসীদের বক্তব্য, রোজই অশ্লীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। ওই কাশবনের আনাচে কানাচে ছেলেমেয়েরা যৌনতায় মেতে উঠছিল। তাই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কাশবনে।