আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের রাজধানী গাজার খান ইউনিস শহরের দুটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। আর ওই গণকবর যত খোঁড়া হচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে একের পর এক ক্ষতবিক্ষত লাশ। কবর দুটি থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একসঙ্গে এত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিস্মিত রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক।
খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মৃতদেহ।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকটি মৃতদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। তবে বেশিরভাগ লাশই পচন ধরে গেছে। যার কারণে বোঝা যাচ্ছে না।’
শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান গাজার হাসপাতালে। এই খবর পাওয়ার পর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মৃতদেহের গণকবর দেওয়ার ঘটনা মানব জাতির জন্য লজ্জার।’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করেছিল ইজরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের লড়াইটাও ছিল তুমুল। যার কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।সেখানে বাড়ি-ঘর, হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ভবন কোনও কিছুই ইজরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি বাহিনী।