নিজস্ব প্রতিনিধি, ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ): মহিলা পেলে স্বামী (Husband) আর কিছু চান না। স্বামী আবার পেশায় পুলিশকর্মী (police)। স্বামীর এই ‘শখের’ কথা শুনেছেন। কিন্তু শোনা কথায় তো আর বিশ্বাস করা যায় না। স্বামী (Husband) সত্যমকে ধরতে স্ত্রী ফাঁদ পাতলেন। আর সেই ফাঁদে পা দিলেন স্বামী। ধরাও পড়লেন। এমনই এক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী ইন্দোর।অথচ মহিলার লেখাপড়া খুব বেশি নয়।ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছিলেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহিলার নাম মনীষা (Manisha) চাভন্দ। তিন বছর আগে ২০১৯ সালে সত্যম (Satyam) বহেলের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কয়েক মাস স্ত্রীর প্রতি স্বামীর (Husband) যত্ন-আত্তি কিছু কম ছিল না। তারপরেই স্বামীর ভোলবদল। শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন (physical torture)। মারধর তো ছিলই, স্নানঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রেখে দিতেন তাঁর পুলিশ-স্বামী। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই মহিলা বাপের বাড়ি চলে আসেন। থানায় স্বামীর (Husband) বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের কেন মনীষা। মামলা গড়ায় আদালতে। আদালত সত্যম (Satyam) বহেলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সত্যম জামিনে রয়েছেন।
মনীষা অন্য কিছু সন্দেহ করে। তাঁর মনে হয়েছিল, স্বামী আসলে বহুগামী। সেটা ঠিক কি না, জানতে তরুণী ফেসবুকে ভূয়ো নাম দিয়ে একটি প্রোফাইল খোলে। সত্যমকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে সে সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করে। এর পর শুরু হয় দুইয়ের মধ্যে চ্যাটিং। সত্যম মনীষাকে প্রস্তাব দিয়ে বলে, সে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ইচ্ছুক। মনীষা বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে সত্যমকে একটি হোটেলে আসার প্রস্তাব দেয়। আর সেই হোটেলে পুলিশ-স্বামী গিয়ে দেখে যার সঙ্গে এতোদিন সে ফেসবুকে চ্যাট করে এসেছিল, সে আসলে তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন বোঝোকাণ্ড! চুরি যাওয়া বাইক চালাচ্ছে পুলিশ, তাজ্জব গাড়ির মালিক