এই মুহূর্তে




দেবীর নাম মিলিয়ে গ্রামের নাম, এখানে দণ্ডি কেটে জগদ্ধাত্রী মায়ের পুজো দেন ভক্তরা

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি :মর্ত্য থেকে কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন উমা আর কালী। এবার মর্ত্যে এসেছে মা সিংহবাহিনী। চারিদিকে শুধু সাজো সাজো রব। জগদ্ধাত্রী শব্দের অর্থ হল জগতের পালনকারিণী। তিনি মা দুর্গারই এক রূপ। ১৮ শতকে নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। তারপর থেকে বাংলার বিভিন্ন জেলায় এই পুজো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে চন্দননগর, কৃষ্ণনগর, চাঁদপাড়া প্রভৃতি স্থানে জগদ্ধাত্রী পুজো খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। এইসময় কালনার ধাত্রীগ্রামে ৩০০ বছরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। নবমী, দশমী দু’দিন পুজো হয় এখানে। নবমীর দিনই সপ্তমী, অষ্টমীর পুজো হয়। এই পুজোর আরও এক বিশেষত্ব হল অন্যান্য জগদ্ধাত্রী যেমন সিংহবাহনী। কিন্তু ধাত্রীগ্রামে দেবী নরসিংহ বাহনের উপর অধিষ্ঠিতা। জানেন কী এই গ্রামের নাম ধাত্রীগ্রাম হল কেন ?

শোনা যায়, জগদ্ধাত্রী মায়ের নাম অনুসারেই এলাকার নাম হয়েছে ধাত্রীগ্রাম। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে চন্দ্রপতি গোষ্ঠী নদীয়া জেলার ব্রহ্মশাসন থেকে এসে ধাত্রীগ্রামে বসবাস শুরু করে। চন্দ্রপতি গোষ্ঠীর পণ্ডিত রামচন্দ্র তর্কসিদ্ধান্ত ছিলেন অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী।ধাত্রীগ্রামে বেশ কিছু সংস্কৃত শিক্ষার টোল গড়ে শিক্ষাদান শুরু করেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্ররা টোলে আসতেন। নবদ্বীপ থেকেও পণ্ডিতরা আসতেন।

একদিন রামচন্দ্র তর্কসিদ্ধান্তের এক বংশধর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দেবীর। দেবীর আদেশেই জগদ্ধাত্রীর পুজো শুরু করেন ঐ বংশধর। সেই থেকে আজও চলে আসছে এই পুজো। অতীত রীতি মেনে পাঁঠা বলির প্রথা রয়েছে আজও। পুজো দু’দিন ধরে চললেও মেলা চলে সাতদিন ধরে। নবমীর আগের দিন গ্রামের মহিলারা দেবীবরণে অংশ নেন। পাশাপাশি সিঁদুর খেলা চলে।ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের অদূরে দেবীর স্থায়ী আটচালাও রয়েছে। আশেপাশের প্রায় ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ ভিড় জমান।

আরও পড়ুন : স্বপ্নাদেশে শুরু জগদ্ধাত্রী পুজো,ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে ফাঁকা বেলতলায় রেখে আসা হয় শিবাভোগ

ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দারা শুধু নন, আশপাশের গ্রাম থেকেও ভক্তরা ছুটে আসেন দেবীকে একঝলক দেখার আসায়। আলোর রোশনাইয়ে সাজানো হয় এলাকা ও রাস্তা। প্রতি বছর শত শত ভক্ত নাচ পুকুরে স্নান সেরে দণ্ডি কেটে মায়ের পুজো দেন। ধুনো পোড়ানো হয়।

আরও পড়ুন : জগদ্ধাত্রীর পদতলে হস্তিমুণ্ড, জানেন কী হাতির কাটা মুণ্ড আসলে কে ?




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদার জেল থেকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেলেন ১০৪ বছরের বৃদ্ধ

সরকারি পোর্টালে চুরি! ট্যাব কেলেঙ্কারিতে পুলিশের জালে আরও এক

টয়লেটে বসে বিদ্যালাভ, প্রশ্নের মুখে ছত্তিশগড় সরকার

সোনা-হিরে নয়, রাশিয়ার দোকান থেকে দেদার চুরি হচ্ছে মাখন, কারণ কী?

শীতে কাবু জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু

করিধ্যা পঞ্চায়েতের উপ সমিতির সদস্যপদ গেল তৃণমূলের দখলে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর