নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ফের কাঠগড়ায় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন। এবার ৯০ হাজার টাকার ক্যামেরার লেন্স অর্ডার করে কুইনোয়া বীজের প্যাকেট হাতে পেলেন এক গ্রাহক। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে জানিয়েছেন খোদ গ্রাহক। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পরে দায়সারাভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে অ্যামাজন। যদিও তাতে খুশি নন প্রতারিত গ্রাহক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, হয় ক্যামেরার লেন্স দিতে হবে, নাহলে লেন্স কেনার জন্য দেওয়া অর্থ ফেরত দিতে হবে।
গত কয়েক মাস ধরেই জেফ বেজোসের ই কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। পণ্যের জন্য অগ্রিম দাম নিয়ে শেষ মুহুর্তে অর্ডার বাতিল করে দেওয়া, আসল পণ্যের পরিবর্তে নকল জিনিস সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ জুলাই এক মহিলা ক্রেতা ৫০ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের অ্যাপল ঘরির অর্ডার দিয়েছিলেন। পরিবর্তে তাকে নকল ঘড়ি দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের প্রতারণার অভিযোগ উঠল ই-কমার্স সংস্থাটির বিরুদ্ধে।
অরুণ কুমার মেহের নামে এক ক্রেতা গত ৫ জুলাই অ্যামাজনে সিগমা ২৪-৭০ এফ ২.৮ লেন্সের অর্ডার দিয়েছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ ৬ জুলাই অ্যামাজনের পাঠানো প্যাকেট খুলতেই থ হয়ে যান। কেননা প্যাকেটের ভিতরে ক্যামেরার লেন্সের বক্সে লেন্সের পরিবর্তে ছিল কুইনোয়া বীজের প্যাকেট। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে টুইট করেন তিনি। তাতে লেখেন, ‘বড় কেলেঙ্কারি। অ্যামাজনে ৯০ হাজার টাকার ক্যামেরার লেন্স অর্ডার দিয়ে কুইনোয়া বীজের প্যাকেট পেলাম। কী বলব বলুন তো?’