নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: নিজের যৌন লিপ্সা মেটাতে ছোট্ট পড়ুয়াদেরই নিশানা করতেন। তার পরে তাদের ভয় দেখিয়ে জোর করে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই চালাচ্ছেন এমন বেআইনি কারবার। শেষ পর্যন্ত পাকড়াও হলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা জেসিকা সাউচকি। জঙ্গলে এক নাবালক পড়ুয়ার সঙ্গে উদ্দাম যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জেরায় নিজের কুকর্মের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী শিক্ষিকা।ওই ঘটনার পরে জেসিকাকে শিক্ষিকার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ।
‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউ জার্সির ট্রেনটনের হ্যামিলটন হাইস্কুলে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৩৭ বছরের জেসিকা সাউচকি। দীর্ঘদিন ধরেই ছোট পড়ুয়াদের সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গমের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। গত রবিবার নিউ জার্সির বিখ্যাত অভয়ারণ্য আসুনপিঙ্কে বিশেষ অভিযানের সময়ে এক পড়ুয়ার সঙ্গে গাড়ির পিছনের সিটে উদ্দাম যৌন সঙ্গমে লিপ্ত থাকার সময়ে তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন বণ্যপ্রাণী দফতরের এক পরিদর্শক। শিক্ষিকা ও ছাত্র-দুজনকেই ঘটনার সময়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় ছিলেন।
জেরায় জেসিকা স্বীকার করেছেন, গত ডিসেম্বর মাস থেকে মোট পাঁচ বার ওই পড়ুয়ার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে মিলিত হয়েছেন। কোনও বারই বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেননি তিনি। শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত পড়ুয়ার বয়স প্রথমে ১৮ বছর বলে দাবি করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। যদিও ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। গ্রেফতারের পরে এক সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত ওই সংশোধনাগারেই তাকে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেসিকা নামে শিক্ষিকার ওই অসদাচারণে যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।