নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: লক্ষ্য পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। আর সেই লক্ষ্যপূরণে মহিলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে নিজের বিয়ে রোখার করুণ আর্তি জানিয়েছিল। ফোন পেয়ে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্য বিয়ের বন্ধের নির্দেশ দিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত নিজের বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে পেরে যথেষ্টই খুশি ওই নাবালিকা। তাঁর কথায়, ‘উচ্চ শিক্ষা শেষ করার পরে চাকরি করার ইচ্ছা রয়েছে। তার পরেই বিয়ের বিষয়টি ভাবব।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলুরু জেলার কামাবারাপুকোতার বেঙ্কটপুরমের বাসিন্দা ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক করেছিল পরিবারের সদস্যরা। আগামী ৮ জুন বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। বাড়ির বড়দের কাছে একাধিকবার বিয়ে বন্ধের আর্জি জানিয়েছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু বাড়ির বয়স্করা তাতে কর্ণপাত করেননি। শেষ পর্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের জন্য তৈরি মহিলা পুলিশের বিশেষ শাখা ‘দিশা’র কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সাহায্য চায়। ফোনে নাবালিকা জানায়, ‘এখনই বিয়ে করতে চায় না সে। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। বাড়ির লোকজন জোর করে বিয়ে দিচ্ছে।’
ওই ফোন পাওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যান মহিলা পুলিশের আধিকারিকরা। নাবালিকা পুলিশ আধিকারিকদের জানায়, ‘ভালো নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে। এখন গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে চায়। স্নাতক হওয়ার পরে বিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই।’ এর পরেই নাবালিকার অভিভাবকদের বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকরা। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘অল্প বয়স হলেও মেয়েটি যে সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দেখিয়েছে, তা অবশ্যই তারিফযোগ্য।’