-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 4:23 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: শরীরের গন্ধ অনেকটা নির্ভর করে মশার কামড়ের জন্য, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সম্প্রতি এক গবেষণায়। এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সম্প্রতি এই দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশ হওয়া গবেষণাপত্রে এই দাবি করেছেন গবেষকরা।
শুক্রবার কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশিত হওয়া গবেষণাপত্রটি প্রস্তুত করেছেন জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সহকারী অধ্যাপক কোনর ম্যাকমেনিম্যান, গবেষক দিয়েগা গিলারদো ও স্টেফানি রানকিন-টার্নার। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন এডগার সিমুলুনডুর নেতৃত্বাধীন জাম্বিয়ার মাকা রিসার্চ ট্রাস্টও। গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, মশা সাধারণত ফল-মূল ও লতা-পাতার রস খায়। তবে ডিম ফোটানোর সময় স্ত্রী মশার অতিরিক্ত প্রোটিনের দরকার হয়। সেই সময় তারা মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহ থেকে রক্ত খেতে কামড় বসায়।
গবেষকেরা দাবি করেন, মশা আকৃষ্ট হয় মানুষের শরীরের ঘামে থাকা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদানের গন্ধে। সেই গন্ধের কারণে মশার কামড়ের তারতম্য ঘটে। গবেষকরা তুলনা করে দেখান ভিন্ন ভিন্ন মানুষের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে মশা কতটা আকৃষ্ট হচ্ছে। ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট দূর থেকে এই গন্ধ শনাক্ত করতে পারে মশারা। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। এই অ্যাসিডে রয়েছে বিউটিরিক, যা ‘দুর্গন্ধযুক্ত’ পনিরে পাওয়া যায়। একধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের ত্বকে এই অ্যাসিড তৈরি করে। পাশাপাশি ইউক্যালিপটল নামের একধরনের উদ্ভিজ্জ রাসায়নিকের প্রতিও মশারা বেশি আকৃষ্ট হয়। এই গবেষণা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজে লাগবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।