নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আদালতের সাজায় ভোটে লড়ার অধিকার হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু মোদি মন্তব্য মামলায় শুক্রবার শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধির সাজা স্থগিত রাখায় বেজায় খুশ আরজেডি সুপ্রিমো। রাতেই ওই জয় উদযাপনে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। শুধু তাই নয়, অসুস্থ শরীর নিয়ে নিজের হাতে খাসির মাংস রেঁধে খাওয়ালেন রাহুলকে। আর প্রবীণ নেতার হাতের রান্নায় মজেছেন রাজীব তনয়।
শুক্রবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভা্ইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মোদি পদবি মন্তব্য মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। আর শীর্ষ আদালতের রায়ের পরেই উৎসবের মেজাজ লক্ষ্য করা গিয়েছে কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোট শিবিরে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুলকে। জয় উদযাপন করতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব।
প্রবীণ নেতার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রাতেই লালু কন্যা মিশা ভারতীর বাংলোয় হাজির হন রাহুল। তরুণ নেতাকে স্বাগত জানাতে ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব আর মেয়ে মিশাকে বাংলোর গেটেই অপেক্ষা করছিলেন লালু। রাহুলকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি জড়িয়ে ধরে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান আরজেডি সুপ্রিমো। তার পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান সবাই। সূত্রের খবর, রাহুলের জন্য চম্পারণ থেকে বিখ্যাত খাসির মাংস ও মশলা আনিয়েছিলেন লালু। অসুস্থ শরীর নিয়েই নিজের হাতে সেই মাংস রান্না করেন। রাঁধুনি লালুর রান্নার সময়ে পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কীভাবে চম্পারণ স্টাইলে খাসির মাংস রাঁন্না হয় তা পরখ করেন। খাওয়ার আগে সবাই মিলে খোশগল্পও করেন। রাজনীতির চেয়ে অন্যান্য বিষয়েই বেশি আড্ডা হয় দুই নেতার মধ্যে। বাকিরা উপভোগ করেন।