নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশমাতাকে স্বাধীন করার জন্য তখন ‘উত্তাল’ হয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (NETAJI SUBHAS CHANDRA BOSE)। তখনও নির্দিষ্ট সময়ে ধ্যান করেছেন তিনি। ছোট থেকেই তাঁর আদর্শ ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে যেতেন নিয়মিত। তাঁর কন্ঠে শোনা যেত দেবী’র গান। দেবী দুর্গা’র প্রতি তাঁর ভক্তি ছিল অগাধ। তিনবার এসেছিলেন অনুকুল ঠাকুরের কাছে। হিন্দু ধর্মে ছিল তাঁর প্রবল বিশ্বাস। সেই তিনিই রাজনীতি এবং জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ধর্মের ‘শরবত’ পছন্দ করতেন না।
আজাদ হিন্দ বাহিনী’র সেন্যরা সকলে মিলে একটা প্রার্থনা ঠিক করেছিলেন। সেখানে কোনও ইষ্ট দেব-দেবী, আল্লা, যীশু সহ কারও নাম নেই। প্রার্থনা করা হতো ‘দুনিয়ার মালিক’- এর উদ্দেশ্যে। ব্যারাকেই হতো সমবেত প্রার্থনা। তবে তা পছন্দ হয়নি নেতাজির। তিনি মনে করতেন, ধর্মের নামে ঐক্যের এই চেষ্টা মানে ধর্মের নামে বিভেদের রাস্তা তৈরি করা।
নেতাজি বলেছিলেন, দেশমাতার জন্য আন্দোলনের ভিত্তি জাতীয়তাবাদ। সবার পরিচয়, ‘ভারতীয়’। বলেছিলেন, রাজনৈতিক এই চরিত্রের সঙ্গে ধর্ম গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। তিনি বলতেন, সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের ব্যক্তিজীবনে স্বাধীন ধর্মচারণের অধিকার আছে। তাঁদের স্বাধীনতা রয়েছে নিজস্ব ধর্মের উপাসনালয়ে যাওয়ার।