নিজস্ব প্রতিনিধি, ভুবনেশ্বর: ভাষণ পড়ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি দর্শক-শ্রোতারা এক মনেই শুনছিলেন সাংবিধানিক প্রধানের কথা। আচমকাই প্রেক্ষাগৃহজুড়ে নেমে এলো অন্ধকার। বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেলেন আয়োজকরা। অঘটনের আশঙ্কায় নিরাপত্তা রক্ষীরা অতি সজাগ হয়ে উঠলেন। থমকে গেলেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানালেন, বিদ্যুৎ ফিরে আসার পরে ফের ভাষণ শুরু করুন। কিন্তু আয়োজকদের সেই অনুরোধে সাড়া না দিয়ে ভাষণ শেষ করেন রাষ্ট্রপতি। ভাগ্যিস সাউন্ড সিস্টেম বিগড়ে যায়নি।
শনিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদার মহারাজা শ্রী রামচন্দ্র ভঞ্জদেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। ভুমিপুত্রী হওয়ার সুবাদে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। কিন্তু তাঁর ভাষণ চলাকালীনই প্রেক্ষাগৃহের আলো নিভে যায়। রাষ্ট্রপতিকে মজা করে বলতেও শোনা যায়, ‘বিদ্যুৎ লুকোচুরি খেলছে আমাদের সঙ্গে।’ সকাল ১১টা ৫৬ মিনিট থেকে ১২টা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত টানা নয় মিনিট গোটা প্রেক্ষাগৃহ সম্ফর্ন অন্ধকার ছিল। যদিও সাউন্ড ও এয়ারকন্ডিশনড ব্যবস্থা ঠিকই ছিল। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বিঘ্নেই ভাষণ শেষ করেছেন। কিন্তু পুরো প্রেক্ষাগৃহ অন্ধকার, সামনে কাউকে দেখা যাচ্ছে না, শুধু কিচু কথা কানে ভেসে আসছে-এমন ভৌতিক পরিমণ্ডল তৈরি হয়েছিল। গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সন্তোষ ত্রিপাঠী।
যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বারিপদায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা টাটা পাওয়ারের উত্তর ওড়িশা বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার সিইও ভাস্কর সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহে লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে অভ্যন্তরীণ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। প্রেক্ষাগৃহে আলো সংযোগের সঙ্গে জড়িত লাইনে সমস্যার কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে।