নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) রাজ্যে মহিলারা কতটা নিরাপদ, বরেলির নৃশংস ঘটনা তার সর্বশেষ জলজ্যান্ত উদাহরণ। চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে নরপিশাচদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক গর্ভবতী মহিলা। ধর্ষণের সময়েই গর্ভপাত হয় তার। মৃত ভ্রূণ প্রসব করেন। আর সেই মৃত ভ্রূণ নিয়েই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ( SSP office of Bareilly) পৌঁছে গেলেন নির্যাতিতার শাশুড়ি। আর ওই দৃশ্য দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা অসংখ্য পুলিশ কর্মী ও সাধারণ মানুষ। ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যদিও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অধরা গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত নরপিশাচরা। শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে বরেলির বিশারতগঞ্জে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষের জমিতে কাজে গিয়েছিলেন তিন মাসের গর্ভবতী এক মহিলা। আর তখনই একা পেয়ে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিন নরপিশাচরা। কোনও আর্তিই কানে তোলেনি। লাগাতার ধর্ষণের সময়েই গর্ভপাত হয় ওই মহিলার। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান মহিলার পরিবারের সদস্যরা। খুঁজতে গিয়ে চাষের জমিতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নির্যাতিতাকে। অতি দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ধর্ষণের সময়েই গর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
গণধর্ষণে অভিযুক্তদের নামে স্থানীয় থানায় (Bisharatganj police station ) অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বেশ কয়েকদিন ধরে চক্কর কেটেছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু স্থানীয় থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ পর্যন্ত একটি প্লাস্টিকের কৌটোয় মৃত ভ্রূণ নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হন ধর্ষিতার শাশুড়ির। আর তা দেখে তাজ্জব হয়ে যান বরেলির পুলিশ সুপার রাজকুমার আগরওয়াল। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকদের দেখে, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দেন।