নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: বরাবরই কড়া ধাতের আইপিএস অফিসার হিসেবে পরিচিত রাজিন্দর সিং ভাট্টর। শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা বাহুবলীদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিতে কখনই তাঁর বুক কাঁপেনি। অনন্ত সিং, প্রভুনাথ সিং থেকে শুরু করে সিওয়ানের প্রাক্তন সাংসদ সাহাবউদ্দিনের মতো দুঁদে বাহুবলী কাম রাজনেতাকে জেলের ঘানি টানিয়েছিলেন। সেই দাবাং পুলিশ আধিকারিকের হাতেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামলানোর কামান সঁপলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রবিবারই বিহার পুলিশের ডিজি পদে ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএসকে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের প্রধান পদে ভাট্টির নিয়োগের খবর শুনেই অপরাধীরা কাঁপতে শুরু করেছেন।
পঞ্জাবের ভূমিপুত্র রাজিন্দার সিং ভাট্টি যখন বিহার পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন তখন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু ছিল না। সমাজবিরোধীদের রাজত্ব চলছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন তরুণ পুলিশ আধিকারিক। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার থাকাকালীন চণ্ডিগড়ের বাড়িতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ভাট্টি। আচমকাই তাঁর কাছে খবর পৌঁছল এক চিকিৎসকের ছেলেকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। দেরি না করে গোপালগঞ্জে ফিরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুল পড়ুয়াকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন।
২০০৫ সালে বিহার বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশন শেষে ফিরে দারণ রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ভাট্টি। খবর পেলেন বাহুবলী রাজনেতা তথা সিওয়ানের সাংসদ সাহাবউদ্দিন দিল্লিতে পালিয়ে রয়েছেন। নিজের পাঁচজন বিশ্বস্ত আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সাহাবউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পটনায় নিয়ে এসেছিলেন। কাকপক্ষীতেও কিছু টের পায়নি। বিহার পুলিশের পাশাপাশি সিবিআই ও সীমান্ত সুরক্ষা বলেও একাধিক পদ সামলেছেন শক্তের যম রাজিন্দর সিং ভাট্টি।