এই মুহূর্তে




কিউবায় ভয়াবহ খাদ্যসঙ্কট, চিনি মেশানো জল খেয়ে দিন কাটছে আমজনতার

courtesy google




আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবাকে বলা হয় ‘বিশ্বের চিনির বাটি’। এবার বেঁচে থাকার জন্য চিনিতে জল মিশিয়ে খাচ্ছেন কিউবানরা। ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি কিউবান। পর্যাপ্ত খাবার তো দূর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারটুকুও পাচ্ছেন না তাঁরা। দেশটিতে এভাবে না খেতে পেয়ে ভুক্তভোগি বহু মানুষ। এমনকী চিনি জল খেয়ে কোনরকম পেটকে স্বাত্তনা দিচ্ছেন তাঁরা।

একদিকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লড়ছে কিউবা সরকার। ফলে কিউবা নিত্যপণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে ভর্তুকি দেওয়া রেশনের খাবারে রুটির আকার ছোট করে তালুর সমান করা হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষেরা। খাবার নেই বাজারে বা থাকলেও তা কেনার ক্ষমতা নেই মধ্যবিত্তদের। বাজারে চাল দুষ্প্রাপ্য। আর তেল ও কফি পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।

আবার কিছু সরকারি দোকান আছে, যেখানে ভর্তুকির খাবার পাওয়া যায় না। এসব দোকানে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করা হয়। এই সব কারণে ওই সব দোকান থেকেও খাবার কিনতে পারেন না সাধারণ মানুষেরা।

তেমনই কিউবার একজন বাসিন্দা হলেন ৫৭ বছর বয়সী রোসালিয়া টেরেরো। তিনি হাভানায় একটি দোকানে কাজ করেন। সেখানে ভর্তুকির খাবার বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, ‘অনেকেরই খাওয়ার মত কিছুই নেই তাই  কেউ কেউ শুধু জলে চিনি মিশিয়ে খেয়ে ঘুমোতে যান।’

এই নিয়ে রোসালিয়া আরও জানান, ‘তাঁর পরিবারেরই সাত সদস্য প্রতিদিন এক টুকরা করে ভর্তুকির রুটি খেয়ে বেঁচে রয়েছেন। কিউবা সরকার রেশনের রুটির ওজন ৮০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৬০ গ্রাম করে দিয়েছে। ওইটুকু রুটিতে কারোর পেট ভরে না।’

রোসালিয়া জানান, ‘বর্তমান সময়ের খাদ্য সংকট কিউবানদের বড় ধাক্কা। যদি খাবার টেবিলে চাল, পাস্তা বা ম্যাকারনি না থাকে তবু তা বলার মতো কিছু নয়। কিন্তু যখন কিছুই থাকে না, তখন সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে। কিউবানরা ঘুম থেকে উঠে আবার বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন। কেননা কি খেয়ে থাকবেন তাঁরা কিছুই জানেন না। এইভাবে আর কতদিন চলতে হবে তাও জানেন না তাঁরা।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে কিউবা। দেশটিতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। একজন মানুষের গড় মাসিক আয় মাত্র ৪২ ডলার (৫ হাজার ৪০ টাকা)। অন্যদিকে আমেরিকার দেওয়া এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে কিউবা নিত্যপণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। এই কারণেই মূলত সেখানে খাদ্যসংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রতি মাসে রুটি উৎপাদনের জন্য ৩ হাজার ৩০০ টন গমের প্রয়োজন। কিন্তু গত জুলাই ও আগস্টে দেশটি এ চাহিদার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জোগাড় করতে পেরেছে। খাবারের পাশাপাশি ওষুধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে দেশটিতে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগামী বছর কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি

পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ক্যানভাসে ছবি আঁকলেন মমতা

ইরানের ‘খতম’ তালিকায় নাম নেতানিয়াহু ও ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর

পায়ের চটি খুলে পুলিশ কর্মীকে সপাটে কষিয়ে দিলেন এক মহিলা, ভাইরাল ভিডিও

গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় খতম হামাস সরকারের প্রধান

ভালো টাকার লোভে সৌদিতে পাড়ি, ধু ধু মরুভূমিতে চড়াতে হচ্ছে উট

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর