নিজস্ব প্রতিনিধি: বাচ্চাদের মানুষ করার অনেকগুলি পদ্ধতি আছে, সেগুলি যদি ছোট্ট থেকেই বাচ্চাদের উপর প্রয়োগ করা যায়, তাহলে ভাববেন আপনার সন্তান জীবনে সঠিক শিক্ষা পেয়েছে আপনার কাছ থেকে! সাধারণত ছোট্ট থেকেই বাচ্চাদেরকে অনুশাসনের মাধ্যমে রাখতে হয়, শাসনে না থাকলেই বাচ্চারা যেকোনো মুহূর্তে বিগরে যেতে পারে। বিশেষ করে, আপনার বাচ্চার ব্যবহারিক দিক অর্থাৎ বড়ো হয়ে কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন সেটা কিন্তু বোঝা যায়, ছোট্ট থেকে তাঁকে কেমনভাবে শাসন করা হয়েছে তার উপর।তবে মনে রাখবেন, আপনাদের অনুশাসন যেন কোনোমতেই কঠোর না হয়ে যায়, তাহলে শিশুদের মানসিক অবস্থার উপর আঘাত পড়তে পারে।
সাধারণত মাতা-পিতা, তাঁদের কন্যাসন্তানকে ঘরের সব কাজ শেখাতে পারেন! কিন্তু এক্ষেত্রে ছেলেদের ঘরের কাজ শেখানোর কোনো রীতি নেই! তবে ছেলেদের একেবারেই কিছু শেখাবেন না, তা হতে পারেনা! তাঁদের ছোট্ট থেকেই দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যপালন শেখাতে হবে! তবে এমন খারাপ কিছু বাচ্চাদের শেখাবেন না, যাতে তাঁদের মনের মধ্যে সেটা চিরকালের জন্যে গেঁথে যায়!
যখন আপনার ছেলে অভিমান করে বা কিছু কারণে রেগে যায়, তখন আপনি তাঁর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মিশুন, যাতে সে তৎক্ষণাৎ তাঁর অভিমান ভুলে যেতে পারে! অনেক সময়ে মানুষ ছেলেদের থেকে মেয়েদেরকে বেশি ভালবাসেন, এবং ছেলেদের বকাঝকা করতে থাকেন! মনে রাখবেন, এটি সন্তান মানুষ করা খুব বাজে একটি গুন, যা সন্তানের উপর কু প্রভাব ফেলতে পারে!
আপনি আপনার ছেলে এবং মেয়ে দুজনকেই সমানভাবে ভালবাসুন, তাতে দেখবেন অনেক সুফল পাচ্ছেন। আপনার সন্তানদের অতিরিক্ত শাসন না করে, তাঁদের বন্ধু হয়ে উঠুন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে মায়েদের বন্ধুর মতন মেশাটা খুবই জরুরী! কারণ একজন মাইই, তাঁর মেয়ের মনের কথা বুঝতে পারবেন! আর আরেকটি কথা মনে রাখবেন, আপ্নার সন্তানকে কোনোভাবেই তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করবেন না, তাঁদের অনিচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ করাবেন না, তাতে সন্তানের উপর কু-প্রভাব পড়তে পারে!