এই মুহূর্তে




ভারতের একমাত্র দরজাবিহীন গ্রাম! ‘চুরি ডাকাতিও হয় না’ রক্ষা করেন শনিদেবই

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিদেবকে সকলে রাগী দেবতা বলে জানেন। কর্মফলদাতার নাম শুনলেই মাথায় আসে শনিদেবের কথা।তাঁর দৃষ্টি নাকি থুব তীক্ষ্ণ! শনির অশুভ দৃষ্টিতে জীবন হতে পারে ছারখার। কিন্তু একটা গ্রাম রয়েছে যেখানে শনিদেব রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিত। এমনকী সেই গ্রামে চুরি ডাকাতিও হয় না। শনিদেব নিজেই রক্ষা করেন।

জায়গাটি হল মহারাষ্ট্রের শনি শিংনাপুর। ভারতের মহারাষ্ট্র অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত একটি গ্রাম হল শিঙ্গণাপুর বা শনি শিংনাপুর। এখানকার মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস, তাঁদের ঘরে নাকি তাঁরা দরজা লাগান না। দোর প্রয়োজন পড়ে না। তাঁদের রক্ষা করেন শনিদেবই। সবচেয়ে আশ্চর্য হল এই গ্রামে সত্যি কোনও দরজা নেই। মানুষ সারারাত দরজা ছাড়া নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকেন। এখানকার মানুষের বিশ্বাস, শনিদেবের কৃপাতেই এখানে চুরি ডাকাতি হয় না।

লোকমুখে প্রচলিত একটা গল্প শোনা যায়। এটি নাকি ৩০০ বছর আগের কথা।এই গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি নদী। সেই নদীতে একবার এক বিশালকৃতি শিলা ভেসে আসে। গ্রামবাসীরা পাথরটি লাঠি দিয়ে সরাতে গেলে নাকি সেখান থেকে রক্ত বের হয়েছিল। এটা থেকে আশ্চর্য হয়েছিল সকলে। তারা এটা বিশ্বাসই করতে পারছিল না। ভেবেছিল অলৌকিক কিছু।

এরপর বড় ঠাকুর গ্রামের প্রধানকে স্বপ্নদেশ দিয়েছিলেন, আসলে ওই শিলা তিনিই। তিনিই এবার থেকে গ্রামকে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন। সেই থেকেই গ্রামের কোনও ঘরে দরজা নেই। এমনকী এখানে তো কোনও থানাও ছিল না। সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানে একটা থালা খোলা হয়েছিল বটে। তবে এখনও গ্রামবাসীদের কাছ অভিযোগ তাঁরা পায় নি।

এখানকার গ্রামবাসীরা শনি দেবতাকে এতটাই মানেন যে, গ্রামের পাবলিক টয়লেটেও গোপনীয়তা বজায় রাখতে কোনও দরজা লাগাননি। তবে কোন কোনও ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কাপড়ের পর্দা লাগানো থাকে। যাঁদের পর্দা দেওয়া দেখে অন্যেরা বুঝতে পারেন ভিতরে কেউ রয়েছেন।

শুধু তাই নয়, এখনও যা কিছু তৈরি হোক না কেন তার কোনও দরজা থাকে না। ২০১১ সালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক এই গ্রামে তাদের শাখা খুলেছিল। অবশ্য এই ব্যাঙ্ক দরজা লাগিয়েছে, তবে দরজায় কোনও তালা লাগানো হয় না। এটি ভারতের প্রথম এবং এখনও একমাত্র লকলেস ব্যাঙ্ক নামেও পরিচিত।

উল্লেখ্য, এই বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এককালে গ্রামবাসীদের মধ্যে এই বিশ্বাসটা এতটাই গাঢ় ছিল যে, ভয় থেকেই হয়তো কেউ অপরাধ করত না। কিন্তু বর্তমানে এটা একটা পর্যটনের জায়গা। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটা যেহেতু পর্যটনের একটি জায়গা হয়ে উঠেছে, তাই পর্যটনের শিল্পের কথা মাথায় রেখে চুরি বা অনান্য অপরাধ হলেও নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে নেন তাঁরা। পুলিশে তাঁরা অভিযোগ করেন না। তবে এটা ঠিক এই গ্রামে দরজা লাগানো থাকে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নারায়ণের ঊরু থেকে সৃষ্টি হয়েছিলেন ঊর্বশী – জেনে নিন অজানা কাহিনী

সপ্তাহের কোন দিন লাল রঙের পোশাক পরা শুভ জানেন?

দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যা, এক গ্লাস জুসেই মুশকিল আসান!

ভোরবেলা উঠে হাঁটতে যাচ্ছেন? কোন লাভ নেই! নিয়ম না জানলে সব বেকার

মিয়া বিবি রাজি…, ৪৪ বছরের বড় বৃদ্ধের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন কলেজ ছাত্রী

চৈত্র নবরাত্রিতে করুন এই প্রতিকারগুলি, মা আপনার ঘর সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দেবেন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর