নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অপেক্ষার পালা শেষ। চলতি মাসেই পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটবে ট্রেন। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে ট্রেন। সফল ট্রায়াল রানের পরেই পুরোদমে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। সোয়া ছয় কিলোমিটার লম্বা সেতুতে ইতিমধ্যেই সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেল স্ল্যাব ট্র্যাক বা রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭৫০ মিটারের লাইন পাতার কাজ চলতি মাসের ১৫ তারিখে শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী পদ্মা সেতু ও ভায়াডাক্টের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল হক।
গত বছরের জুন মাসেই চালু হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সেতু। স্বপ্নের সেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোরের মধ্যে যাতে রেল সংযোগ চালু করা যায় তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ রেল দফতর। ১৬৯ কিলোমিটার দুরত্বের রেললাইন নির্মাণের কাজের বরাত দেওয়া হয় চিনা সংস্থা চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে এই প্রথম পাসথরবিহীন রেলপথ চালু হচ্ছে। যে কারণে প্রকল্পের খরচ অনেকটাই বেশি পড়ছে বলে জানিয়েছেন রেল দফতরের এক আধিকারিক।
প্রথমে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া রুটে ছুটে চলবে ট্রেন। ৪২ কিলোমিটার রেল পথ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের মধ্যে পদ্মা সেতুর উপরে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। আটটি ব্রিজ জয়েন্ট মুভমেন্ট রয়েছে। যার সাতটির কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি জয়েন্ট মুভমেন্টটির কাজ শেষ করতে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন শ্রমিকরা।