নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ থেকে ৭১ বছর আগে মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য গর্জে উঠেছিলেন পদ্মাপারের ছাত্র যুব-সহ সাধারণ মানুষ। ১৯৫২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষাপ্রেমীদের সেই আন্দোলনে চলেছিল পুলিশের বুলেট। ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মাস, প্রতি বছর এই মাসের ২১ তারিখে পরম মমতায় বাংলাদেশে পালিত হয় মাতৃভাষা দিবস। গানে, কবিতায়, শোভাযাত্রায় স্মরণ করা হয় আব্দুল জব্বার, বরকত, সালাম, রফিক, শফিউর রহমানদের। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যতিক্রম নজির গড়লেন ঢাকা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। বুধবার বাংলা ভাষায় আদালতের রায় লিখলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলম।
বুধবার ‘মো. আক্কাস আলী বনাম বাংলাদেশ’ মামলার রায় দেন ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মহম্মদ খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার রায় ঘোষণার আগে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘আজ ১ ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস আজ থেকে শুরু। ভাষা শহিদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলায় এ রায় ঘোষণা করছি।’
প্রসঙ্গত বর্তমানে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা রায় দেন ইংরেজি ভাষায়। ব্যতিক্রমী অল্প কয়েকজন বিচারপতি বাংলায় রায় দেন। তবে সেই সংখ্যাটা খুব কম। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মহম্মদ খায়রুল আলম বাংলা ভাষায় রায় দিয়ে আবার নজির গড়লেন। এর আগে ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বেশ কয়েকটি মামলার রায় বাংলায় দিয়েছেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলায় রায় দেওয়া শুরু হয়। প্রয়াত বিচারপতি এ আর এম আমীরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলায় রায় দেওয়া শুরু করেন।