নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সতীর্থ বিচারকের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েও মেলেনি সুবিচার। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার অনুমতি চেয়ে খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কেই চিঠি পাঠালেন যোগী রাজ্যের এক মহিলা বিচারক। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনা সম্পর্কে আজ শুক্রবার সকালের মধ্যেই বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি পাঠিয়েছে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল অতুল এম কারহেকার।
দেশের প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো চিঠিতে উত্তরপ্রদেশের জেলা আদালতের মহিলা বিচারক লিখেছেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এক সিনিয়র বিচারকের যৌন হেনস্থার শিকার। আমার সঙ্গে জঞ্জালের আবর্জনার মতোই ব্যবহার করা হয়েছে। নিজেকে কীট বলে মনে হচ্ছে। তাই আপনার কাছে বিশেষ প্রার্থনা, সম্মানের সঙ্গে আমার জীবন যাতে শেষ করে দিতে পারি, তার জন্য অনুমতি দিন।’
চিঠিতে উত্তরপ্রদেশের বান্দার মহিলা বিচারক লিখেছেন, ‘এলাহাবাদ হাইকোর্টের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুলাইতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে যে তদন্ত শুরু হয়েছে তা লোকদেখানো এবং লজ্জাজনক। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে অভিযুক্ত বিচারকের অধস্তনদের ডাকা হয়েছে। এক জন পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কীভাবে তার অধস্তনরা সাক্ষী দেবেন বা মুখ খুলবেন?’
নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত বিচারককে অন্যত্র বদলি করার আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েও যে সুবিচার পাননি, তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ওই মহিলা বিচারক। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মাত্র আট সেকেন্ডের মধ্যে আমার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।’ ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে নির্যাতিতা মহিলা বিচারকের চিঠি।