নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিগড়: অপকর্মের দায়ে শাস্তি হিসাবে অনেককেই জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরায় ক্ষুব্ধ জনতা। কিন্তু স্বেচ্ছায় কেউ নিজের গলায় জুতোর মালা পরে ভোটারদের দরজায় ভোট ভিক্ষা করছেন এমন কথা শোনা যায়নি। কিন্তু আসন্ন লোকসভা ভোটে এমনই বেনজির কাণ্ড ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। জুতোর মালা গলায় পরে ভোটারদের দরজায়-দরজায় গিয়ে করজোড়ে ভোট ভিক্ষা করছেন আলিগড়ের নির্দল প্রার্থী পণ্ডিত কেশব দেব। আর খোদ প্রার্থীর গলায় জুতোর মালা দেখে তো থ মেরে গিয়েছেন ভোটারকুল। ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে আলিগড়ের নির্দল প্রার্থীর কাণ্ড।
আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট নেওয়া হবে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় লোকসভা আসনে। গতবার মুসলিম অধ্যুষিত আসনটিতে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমার গৌতম। মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী অজিত কুমার বালিয়ানকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এবারে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি দলগুলির প্রার্থীদের মতো এই আসনে এবার ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছেন পণ্ডিত কেশব দেব। আর নির্দল প্রার্থিকে জুতোর মালা গলায় পরে প্রচার সারতে দেখে তো শহরবাসীর চোখ ছানাবড়া।
স্বেচ্ছায় কেন গলায় জুতোর মালা পরে প্রচার সারছেন পণ্ডিত কেশব দেব? এও কী গিমিক? না মোটেও নয়। কেননা, নির্বাচন কমিশন তাঁকে প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ করেছেন দু’পাটি হাওয়াই চটি। আর নিজের প্রতীক সাধারণ ভোটারদের কাছে পরিচিত করতেই সাত জোড়া নতুন চটি দিয়ে মালা গেঁথেছেন কেশব দেব। মাথায় গান্ধি টুপির পাশাপাশি গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরছেন। আর নিজের প্রতীক চিহ্ন জুতোর মালাও গলায় ঝুলিয়েছেন। সাধে কী আর আলেকজান্ডার বলেছিলেন, সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই ভারতবর্ষ!