এই মুহূর্তে




মাত্র একটা ভুলের কারণে পরমভক্ত হনুমানজিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন রামচন্দ্র…




নিজস্ব প্রতিনিধি :  রাম হলেন আদতে শ্রী হরি।তিনি হলেন ভগবান নারায়নের সপ্তম অবতার। সকলেই জানি যে পবন পুত্র হনুমান হল রামের পরম ভক্ত।বজরংবলী হল স্বয়ং শিবের ১১তম রুদ্রাবতার। রামের প্রেমে এমনই মগ্ন ছিলেন বজরংবলী যে, নিজের বুক চিরে দেখিয়েছিলেন রাম নাম লেখা শব্দাক্ষর। মঙ্গলবার হল বজরংবলীর অত্যন্ত প্রিয় দিন। এইদিনে ভক্তিভরে ডাকলে ভক্তের ডাকে সাড়া দেন তিনি। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে একবার নিজের পরম ভক্ত বজরংবলীকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন রাম। একটা ভুলের কারণে বজরংবলীর বুকে ব্রহ্মাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছিলেন তিনি। জানেন কী কেন এমন কঠোর কাজ করেছিলেন রাম ?

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার রামচন্দ্রের সভায় দেব ঋষি নারদ, বশিষ্ঠ বিশ্বামিত্র ও মহান ঋষিদের মিলন সভা হয়েছিল। রাম নাম ভগবান রামের চেয়ে বড় কি না তা নিয়ে বিচারসভায় আলোচনায় মত্ত ছিলেন সকলেই। মানে রাম বেশি শক্তিশালী না রাম নাম। এই আলোচনায় সভায় উপস্থিত সকল বিশিষ্ট ও গুণীজনরা নিজ নিজ মতামত রাখেন।সবাই রামকে শক্তিশালী বলেছিলেন।

আচমকা নারদ মুনি বেঁকে বসেন। তার মতে রাম নাম সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।রামের থেকেও এই নাম বেশি শক্তিশালী।হনুমানজিও সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ও নীরবে মহান ঋষিদের কথা শুনছিলেন। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। সভা শেষ হলে নারদ মুনি হনুমানজিকে সমস্ত ঋষিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বললেন। কেবল বিশ্বামিত্রকে ছাড়া। হনুমানজি নারদকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন আমি ঋষি বিশ্বামিত্রকে প্রণাম ও অভিবাদন করব না’? তখন নারদ বললেন, কারণ তিনি আগে রাজা ছিলেন। সেজন্য তিনি ঋষি নন।

হনুমানজি নারদের কথামতো সমস্ত ঋষিদের সম্মান করেন। কিন্তু বিশ্বামিত্রকে উপেক্ষা করেন। নিজের অপমান সহ্য করতে পারেন নি বিশ্বামিত্র। রেগে গিয়ে ঠিক করেন তিনি এই অপমানের জন্য বজরংবলীকে শাস্তি দেবেন। তাই তিনি অপমানের বিচার চাইতে রামের কাছে যান। রাম ঋষি বিশ্বমিত্রকে তার শাস্তির জন্য সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। তখন কৌশলে ঋষি বিশ্বমিত্র বজরংবলীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বসেন।

হনুমান শ্রীরামের খুব প্রিয় ভক্ত ছিলেন। কিন্তু বিশ্বামিত্রও তাঁর গুরু ছিলেন, তাই গুরুর আদেশ পালন করাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় কর্তব্য। গুরুর আদেশ মেনে নিয়ে ভগবান রামও তাঁর প্রিয় ভক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিতে রাজি হন। হনুমানজির উদ্দেশ্যে ব্রহ্মাস্ত্র ছোঁড়েন তিনি। হনুমানজি অবাক হয়ে যান। তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না কেন তার গুরু রাম তাকে হত্যা করতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে নারদজি হনুমানকে রামের নাম জপ করার পরামর্শ দেন।

যখন রাম হনুমানজির উদ্দেশ্যে ব্রহ্মাস্ত্র ছোড়েন তখন বজরঙ্গবলী তখন একটি গাছের নিচে বসে রাম নাম জপ করতে শুরু করেন। রাম নাম জপ করতে করতে তিনি রামের সুরে এতটাই মগ্ন হয়ে যান যে গভীর ধ্যানে চলে যান। ভগবান রাম যখন হনুমানকে লক্ষ্য করে ব্রহ্মাস্ত্র ছুড়লেও বজরংবলীর শরীরে তার কোন প্রভাব পড়ে না।কেননা তিনি রামের ভক্তিতে মগ্ন ছিলেন।নিজের তীর ব্যর্থ হতে দেখে শ্রীরাম হাসলেন।বুঝতে পারলেন নিজের ভক্তের তিনি কিছুতেই ক্ষতি করতে পারবেন না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাঙ্ঘাতিক ঘটনা, মোমো কারখানার ফ্রিজে মিলল কুকুরের কাটা মুণ্ডু

আচমকা বেঁচে উঠলেন মৃত ফুটবলার, তারপর যা হল…

লেহঙ্গার কারণে ২০ মিনিটের বেশি থমকে দাঁড়াল বন্দে ভারত, কোথায় ঘটল বেনজির কাণ্ড?

দুদিন ধরে মায়ের লাশ আগলে ছেলে, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার আলিপুরদুয়ারে  

টাকে চুল গজানোর ওষুধ ব্যবহার করে বিপত্তি, দৃষ্টিশক্তি হারানোর মুখে ৬৫ জন

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় আচমকাই রাস্তায় ষাঁড়, বরখাস্ত ১৬ পুরকর্মী

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর