এই মুহূর্তে




‘যুদ্ধে নিহত অসুরদের প্রাণ ফিরিয়ে দিত’ জেনে নিন কে ছিলেন এই দেবতা ? কীভাবে সঞ্জীবনী মন্ত্রের বর লাভ করেছিলেন ?

courtesy google




কে ছিলেন শুক্রাচার্য : শুক্রাচার্য হলেন ঋষি ভৃগু ও কাব্য/দিব্য মাতার পুত্র শুক্র। মনে করা হয়, যিনি সপ্তর্ষিদের অন্যতম ঋষি।প্রাচীন ভারতে মহান ঋষিদের তালিকায় রয়েছে শুক্রাচার্য। তিনি অসুর ও দানবদের গুরু হিসেবে শিক্ষা দিয়েছিলেন। তাই তিনি দৈত্য গুরু নামেও পরিচিত ছিলেন।  অন্যদিকে শুক্রাচার্যকে হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ শিক্ষকও বলা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শুক্রাচার্য তাঁর গুণাবলী এবং জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে আদর্শ শিক্ষকও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ঐশ্বরিক জ্ঞান ছিল তাই তাঁকে সর্বোচ্চ শিক্ষকও বলা হয়। আবার মনে করা হয় তিনিই হলেন শুক্র গ্রহের দেবতা।

কীভাবে মৃতদের দেহে প্রাণের সঞ্চার করতেন : কারণ তাঁর কাছে ছিল সঞ্জীবনী মন্ত্রের জ্ঞান। এই জ্ঞানই  একমাত্র মৃতদেহের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালি অসুররা নিহত হলে তাঁদের দেহে প্রাণ সঞ্চার করতেন তিনি। এভাবেই অসুরদের পুনরায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতেন।

কীভাবে এই বর পেলেন শুক্রাচার্য : তবে এই জ্ঞান অর্জন অতটাও সহজ নয় অর্জন করা। কোন গ্রন্থে লেখা নেই। এটি কেবল বর লাভের মাধ্যমেই সম্ভব ছিল। এর জন্য কঠিন তপস্যা করতে লাগলেন তিনি।

দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রায়ই যুদ্ধ হতো। ফলে বহু অসুর প্রাণ হারান। এটি গুরু শুক্রাচার্যকে গভীরভাবে শোকাহত করেছিল। তাই তিনি কঠোর তপস্যা করতে শুরু করলেন। ভগবান শিবের কাছে সঞ্জীবনী মন্ত্র লাভের জন্য গভীর বনে গিয়েছিলেন। তিনি এই আশীর্বাদ লাভের জন্য গাছের মধ্যে উল্টো ঝুলে কঠিন তপস্যা করতে শুরু করলেন। এমনকী তিনি খাবার বা পানীয়ও পান করেন নি।

অন্যদিকে তাঁর এমন কঠিন ধ্যান দেখে চিন্তিত হয়ে পড়লেন দেবকুল। তাই ধ্যান বন্ধ করতে দেবতা ইন্দ্র তাঁর মেয়ে জয়ন্তীকে পাঠালেন। শুক্রাচার্য যেহেতু গাছ থেকে উল্টো হয়ে ঝুলে ধ্যান করত তাই জয়ন্তী সুযোগ বুঝে জ্বলন্ত পাতায় তীব্র ঝাঁঝের লঙ্কা মিশিয়ে দিলেন। লঙ্কার কারণে শুক্রের খুব অস্বস্তি হয়েছিল শ্বাস নিতে। চোখমুখ প্রচন্ড জ্বালা করতে শুরু করেছিল। কিন্তু তবুও তিনি থামলেন না। কষ্ট নিয়েও তাঁর তপস্যা চালিয়ে যান। ভক্তির প্রতি এমন নিষ্ঠা দেখে জয়ন্তী শুক্রাচার্যের প্রেমে পড়লেন। পরবর্তীকালে এই জয়ন্তী হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। অন্যদিকে ভক্তের এমন তপস্যা দেখে ভগবান শিব মুগ্ধ হন। তাই, বর হিসেবে শিবজি তাকে সঞ্জীবনী মন্ত্র দিয়েছিলেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর