নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাহাড়, সে তো এক অন্য ভালবাসা। পাহাড়কে বিদায় জানানোর সময় চোখে জল আসেনা এমন মানুষ বোধহয় খুবই কম আছেন। পাহাড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নানারকমের মায়া। তারমধ্যে একটি হল পাহাড়ের খাবার। পাহাড়ে গেলেই মনটা কেমন ম্যাগি আর মোমো করে ওঠে। কিন্তু জানেন কী পাহাড়ে গেলে শুধু ম্যাগি আর মোমো নয়। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক খাবার। হিমালয়ের কোলে তেমনি খাবারের সন্ধান মিলবে যদি আপনি একটু নজর রাখেন। আসুন তাহলে জেনে নিন পাহাড়ে আপনার আগামী সফরে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে কোন খাবারগুলি চেখে দেখবেন।
সেকুয়াঃ মূলত নেপালের এই খাবার সেকুয়া। যা একপ্রকার মাংসের পদ। কলকাতা বা অন্যান্য জায়গায় আমরা যেমন কাবাব খাই ঠিক তেমনিই এই ধরণের খাবার সেকুয়া। নেপাল ছাড়াও পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় একটু নজর রাখলেই এই খাবার আপনি পেয়ে যাবেন খুব সহজে। মূলত খাসি বা ভেড়ার মাংস দিয়ে বানানো হয় এই সেকুয়া। সঙ্গে থাকে নানা ধরণের চাটনি।
সেল রুটিঃ উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জায়গায় এই খাবারটি পাওয়া যায়। নামে রুটি হলেও আকারে খানিকটা জিলিপির মত এই খাবারটি বিকেলের স্ন্যাক্স হিসাবে আপনি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে খেতেই পারেন। তবে যাঁরা এটির রসাস্বাদন এখন করতে চাইছেন তাঁরা চাইলে শীতের মরসুমে কলকাতায় বসা নানা মেলাতে ঢুঁ মারতে পারেন। পাহাড় থেকে এমন অনেক মানুষ এই মেলাগুলিতে আসেন যারা মেলাগুলিতে স্টল দেন এবং তাঁদের এলাকার খাবার আমাদের খাইয়ে থাকেন। নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করান আমাদের।
সাফালায়ঃ পাহাড়ি জনপদে এ এক জনপ্রিয় ও সুস্বাদু খাবার। বাঙালিদের পিঠের আকারে বানান এক সুস্বাদু খাবার হল সাফালায়। যা পরিবেশন করা হয় আচার বা চাটনি দিয়ে। মাংসের পুরে ঠাসা এই খাবার পাহাড়ে গিয়ে না খেলে বড় মিস করবেন একথা বলাই বাহুল্য।
থুকপাঃ তিব্বতি খাবার হলেও হিমালয়ের কোলে অর্থাৎ পাহাড়ে কিন্তু থুকপার চাহিদা ভীষণরকমের। ভেজ থেকে চিকেন কিংবা পর্ক সবরকমের থুকপা পাওয়া যায় দার্জিলিংয়ে। তাই পাহাড়ে থুকপা না খেলে পাহাড় ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থাকবে আপনার।
আলুরদমঃ পাহাড়ে বেড়াতে গেলে বাঙালি আর নেপালি ঘরানার সংমিশ্রণে তৈরি এক আলাদা স্বাদের আলুরদম পাওয়া যায়। মেনকোর্সের সঙ্গে যা পরিবেশন করা হয়। তবে আপনি চাইলে তা এমনিও খেয়ে দেখতে পারেন। পাহাড়ের নানা সুস্বাদু মশলা ও উপকরণ দিয়ে তৈরি আলুরদম এক কথায় লা-জবাব।