নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ সওয়াল জবাব পর্ব চলার পর অবশেষে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুজনকেই সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন বিশেষ আদালতের বিচারককে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কাতর অনুনয়ের সুরে বলেন, ‘আমি মরেই যাব। আমি অসুস্থ। আমাকে অনেক ওষুধ খেতে হয়। আমাকে বাঁচতে দিন।’ বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। জামিনের আর্জি জানিয়ে পার্থ বলেন, ‘আমি এমবিএ। জনপ্রতিনিধি হিসেবে কলঙ্কহীন কেরিয়ার। শিক্ষক নিয়োগে আমার কী ভূমিকা? এসএসসি আলাদা সংস্থা। তারা সব তথ্য মুছে দিয়েছে। আর এখন আমাকে জেলে রাখতে এজেন্সি চক্রান্ত করছে। আমাকে বাঁচতে দিন।’
শুনানিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু এতদিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি । এরপরই আচমকা সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে চাইছে। এটা চক্রান্ত।’পার্থর আইনজীবীর সেই দাবি খারিজ করে পাল্টা সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, গ্রুপ সি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তারা কখনই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। গ্রুপ ডি মামলায় নোটিস দেওয়া হয়েছিল। যদিও সিবিআই-এর এই দাবি মানতে নারাজ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ইডি ও সিবিআই দুটোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর একই সংস্থার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতে নিয়ে পার্থ ও কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশকিছু তথ্যের হদিশ পেতেই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।